সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১০ পূর্বাহ্ন
২০২১ সালের শুরু হয়েছিলো মহামারি করোনার মধ্য দিয়ে, ঠিক একইভাবে ২০২২ সালেরও সূচনা ঘটতে ফের বিপত্তি! এরই মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বেড়ে চলেছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা।ওমিক্রন নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা।
নভেম্বরের শেষ দিকে মানুষ প্রথম জেনেছে এই ভাইরাসের কথা। মাত্র একমাস কাটতে না কাটতেই পুরো বিশ্বে ভয় ধরিয়ে দিয়েছে এই ভাইরাস।
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম খোঁজ মেলে ওমিক্রনের। এরপর থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাড়ছে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, এই নতুন করোনা ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনে ঘটেছে পরিবর্তন।
এ কারণেই ভাইরাসটি হয়ে উঠেছে মারাত্মক সংক্রামক। অর্থাৎ এই ভাইরাস খুব সহজেই একটি মানুষ থেকে অন্য মানুষে পৌঁছে যেতে পারে। আর ভাইরাসটির এই গুণের কারণেই তাকে ভয় পাচ্ছে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা।
ওমিক্রনের লক্ষণগুলো কী কী?
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ভাইরাসটিকে চিহ্নিত করে প্রথমেই আক্রান্তকে রাখতে হবে আইসোলেশনে। তবেই এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে এই উপসর্গগুলো-
১. মাথাব্যথা
২. শরীরে ব্যথা
৩. শুকনো কাশি
৪. গলা ব্যথা ইত্যাদি
৫. গলার স্বরে পরিবর্তন আনাসহ
স্বাদ-গন্ধ চলে যাওয়া ও শ্বাসকষ্টের ঘটনা কিছু ক্ষেত্রে ঘটতে দেখা গেছে। তবে আশার কথা হলো, এই ভাইরাসের উপসর্গ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মৃদু। এরই মধ্যে ওমিক্রনের নতুন ২ উপসর্গ দেখা দিয়েছে।
জোয়ে কোভিড স্টাডি অ্যাপ ওমিক্রনের দুটি অজানা উপসর্গকে সামনে এনেছে। এই দুটি উপসর্গ এতদিন কারও জানা ছিল না। উপসর্গ দুটি হলো- বমি হওয়া ও ক্ষুধা কমে যাওয়া।
এই অ্যাপের প্রধান বলছেন, বর্তমানে কোভিড আক্রান্ত রোগীর মধ্যে এ দুটি লক্ষণ বেশি দেখা দিচ্ছে। যার মধ্যে করোনা টিকা নেওয়া ব্যক্তিরাই বেশি।
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, এসব লক্ষণ দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তিনি টেস্ট করতে বললে দ্রুত টেস্ট করান। রোগ চিহ্নিত করা সম্ভব হলেই এই রোগ থেকে মিলতে পারে মুক্তি।
বুঝতেই পারছেন, দুটি টিকা নেওয়ার পরও কিন্তু আপনি সুরক্ষিত নন। কারণ দুটি টিকা নেওয়ার পরও মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই সাবধানতা বজায় রাখুন।
ওমিক্রন রুখতে মানতে হবে কোভিড নিয়মাবলি। অবশ্যই মাস্ক পরুন, স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন, হাত ধুয়ে নিন সাবান দিয়ে। আর শারীরিক দূরত্ববিধি আবার চালু করুন। এই বিষয়গুলোই আমাদের এই রোগ থেকে দূর রাখতে পারে।