বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৪ অপরাহ্ন
মোহাম্মদ আসিফ, চট্টগ্রাম:
চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র জনতার ওপর প্রকাশ্যে গুলি চালানো এবং একাধিক হত্যা মামলার পলাতক আসামি, ডবলমুরিং থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোস্তফা কামাল টিপু (৪৯) কে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গোপন সূত্রে জানা যায় যে মোস্তফা কামাল টিপু আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকার একটি ভবনে গোপনে অবস্থান করছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে পশ্চিম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া এর নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে অংশ নেন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী, সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডবলমুরিং জোন) খায়রুল বাশার, ওসি মোঃ বাবুল আজাদসহ থানার একটি আভিযানিক দল।
অভিযানটি পরিচালিত হয় মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে আগ্রাবাদের বাশার স্কয়ারের ৬ষ্ঠ তলায় অবস্থিত ‘আয়ান এন্টারপ্রাইজ’ নামের প্রতিষ্ঠানে। সেখানে অভিযান চালিয়ে মোস্তফা কামাল টিপুকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদের সময় আসামি বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেওয়ায় তার অফিস তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিতে সিলিংয়ের ভেতরে লুকানো একটি কাঠের বাটযুক্ত দেশীয় তৈরি দো-নলা বন্দুক, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোট ৫৬টি বুলেট, ৫টি কার্তুজ, ক্লিনিং রড, একটি HP ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ, এবং অপরাধমূলক কাজে ব্যবহৃত সাদা রঙের নিশান প্রাইভেটকার (চট্টমেট্রো-ঘ ১১-৪৩৫২) উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গুলি ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আন্দোলন দমন ও গুলি চালানোর কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল। পরবর্তীতে টিপু অস্ত্র ও অবশিষ্ট গুলি তার অফিসে লুকিয়ে রাখে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, “আসামি একজন চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। তার বিরুদ্ধে সিএমপির বিভিন্ন থানায় একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে।”
গ্রেফতারের পর টিপুর বিরুদ্ধে ডবলমুরিং মডেল থানায় মামলা নং–৩৭, তারিখ: ২৯/১০/২০২৫, ধারা: The Arms Act, 1878 Section 19A অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে।