শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:
উপদেষ্ঠা মন্ডলীর সভাপতি মো: ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, নির্বাহী সম্পাদক: সেলিম উদ্দিন খান,  বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ আসিফ খোন্দকার, আইনবিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট ইলিয়াস , যোগাযোগ : ০১৬১৬৫৮৮০৮০,০১৮১১৫৮৮০৮০, ঢাকা অফিস: ৪৩, শহীদ নজরুল ইসলাম রোড, চৌধুরী মল (৫ম তলা), টিকাটুলি ১২০৩ ঢাকা, ঢাকা বিভাগ, বাংলাদেশ মেইল: bdprotidinkhabor@gmail.com চট্টগ্রাম অফিস: পিআইবি৭১ টাওয়ার , বড়পুল , চট্টগ্রাম।
সংবাদ শিরোনাম:
সরকারি কাজের নাম করে দীর্ঘদিন ধরেই উর্বর ধানী জমির মাটি কাটছেন— একটি প্রভাব মহল কোতোয়ালী থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে এক লক্ষ ইয়াবা জব্দ চট্টগ্রামে এক মাসে তিন জেলা প্রশাসক, ২৯ দিনেই বদলি সাইফুল, নতুন দায়িত্বে জাহেদুল মিঞা নওগাঁ সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক” সুজন-এর ২৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত শ্রীমঙ্গলে জামায়াত প্রার্থী এডভোকেট আব্দুর রব এর মতবিনিময় পদ্মায় ধরা পড়ল ২৪ কেজি ওজনের কাতল, বিক্রি হলো ৬৭ হাজার টাকায় আনজুমান ট্রাস্টের এক্সিউটিভ সভা অনুষ্ঠিত সন্ত্রাস দমন আইনে চকরিয়ায় ছাত্রলীগের ৩৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জুলাই সনদ ‘লঙ্ঘিত’ হয়েছে: সালাহউদ্দিন নওগাঁর ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার প্রঙ্গণে ৫০০ কাব স্কাউটের মিলন মেলা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত 

রাজশাহীতে ভাঙারি ব্যবসায়ীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

 

সোহেল রানা,রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীতে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এক উপ-পরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে মাসোহারা দিতে অস্বীকার করায় এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর নাম গাফফার শেখ (৫০)। শহরের কেদুর মোড় এলাকায় শহররক্ষা বাঁধের ওপর তার ভাঙারি মালামাল কেনাবেচার দোকান রয়েছে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর তাকে একটি সাইকেল চুরির মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ করা হয়, তিনি চোরের কাছ থেকে সাইকেলটি কিনেছিলেন। তবে গাফফার অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন।

সাইকেল চুরির মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন নগর ডিবি পুলিশের এসআই হুমায়ুন কবির। তিনি গাফফারের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সব মিলিয়ে ১৭ দিন কারাভোগের পর গত সোমবার জামিনে মুক্তি পান গাফফার।

শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় রাজশাহী নগরীতে সংবাদ সম্মেলন করে গাফফার লিখিত বক্তব্যে জানান, “কিছুদিন আগে ডিবির এসআই হুমায়ুন কবির আমার দোকানে এসে বলেন, যেহেতু দোকান সরকারি জায়গায়, তাই আমাকে প্রতি মাসে ৭ হাজার টাকা দিতে হবে। আমি গরিব মানুষ, দিতে পারব না বললে তিনি ক্ষিপ্ত হন এবং আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেন।”

তিনি আরও জানান, “গত ১৩ সেপ্টেম্বর ডিবির এসআই হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে একটি দল আমাকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরদিন বোয়ালিয়া থানায় সাইকেল চুরির মামলা হয়। ওই মামলায় আমাকে ২ নম্বর আসামি করা হয়। অভিযোগ করা হয়, এক চোরের কাছ থেকে আমি ৯০০ টাকায় সাইকেল কিনেছি। এরপর আমাকে কারাগারে পাঠানো হয় এবং পরে একদিন রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয় চোরাই সাইকেল কেনার কথা স্বীকার করার জন্য। কিন্তু আমি মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হইনি।”
গাফফার লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, “অসুস্থতার কারণে আমি সেদিন বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলাম। কোনো কথা না বলেই আমাকে ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা বলে, চোরায় সাইকেল কিনেছিস, কোথায় রেখেছিস বের করে দে। আমি বলি, আমি চোরাই মালামাল কিনিনি। তখন এসআই হুমায়ুন কবির বলেন, স্বীকার কর, না হলে ঝুলিয়েই রাখব, মাদক ও বিস্ফোরক মামলা দেব।”

নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়ে গাফফার বলেন, “আমি জামিনে বের হয়ে এখনো নিরাপত্তাহীনতায় আছি। বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দেওয়া হচ্ছে—যেকোনো সময় মাদক বা বিস্ফোরক মামলায় ফাঁসানো হতে পারে। ডিবি অফিসে নির্যাতনের কথা প্রকাশ করলে আমাকে ও আমার ছেলেকে তুলে নিয়ে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দিচ্ছে এসআই হুমায়ুন কবির। দোকান খুলতে দিচ্ছে না, বলেছে খুললে আবার ধরে নিয়ে যাবে। আমি গরিব মানুষ, দোকান না খুললে সংসার কিভাবে চলবে? আমি নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার চাই।”

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য এসআই হুমায়ুন কবিরকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
নগর পুলিশের মুখপাত্র গাজিউর রহমান বলেন, “এ রকম সংবাদ সম্মেলনের কথা জানি না। তবে অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত করে দেখব। লিখিত অভিযোগ দিলে বিষয়টি অনুসন্ধান করা হবে।”

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Design & Development BY ThemeNeed.Com