শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:
চেয়ারম্যান: মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ আসিফ খোন্দকার, আইনবিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট ইলিয়াস , যোগাযোগ : ০১৬১৬৫৮৮০৮০,০১৮১১৫৮৮০৮০, ঢাকা অফিস: ৪৩, শহীদ নজরুল ইসলাম রোড, চৌধুরী মল (৫ম তলা), টিকাটুলি ১২০৩ ঢাকা, ঢাকা বিভাগ, বাংলাদেশ মেইল: bdprotidinkhabor@gmail.com চট্টগ্রাম অফিস: পিআইবি৭১ টাওয়ার , বড়পুল , চট্টগ্রাম।
সংবাদ শিরোনাম:
আন্ত:জেলা ডাকাত চক্রের ২ সদস্য লোহাগড়া থানা পুলিশের হাতে আটক কোতোয়ালি থানার একটি অভিযানিক টিম দেশে-খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ ছুঁইছুঁই, বেড়েছে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতিও: ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের হাইকমিশনে হামলা ও জাতীয় পতাকা অবমাননার দক্ষিণ জেলা এলডিপি সভাপতির নিন্দা মামলায় নাম থাকলেই ঢালাও গ্রেপ্তার নয়: আইজিপি বাবাকে না পেয়ে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোসেই শিক্ষার্থীর জামিন: আইনজীবী সাইফুল হত্যার প্রধান আসামি ভৈরব রেলস্টেশন হইতে চন্দন গ্রেফতার ভূঞাপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে মতবিনিময় সভা সাংবাদিকদের চেয়ে আইনের হাত লম্বা : চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে‌ অ্যাটর্নি জেনারেল: সিএমপিতে “ছিন্নমূল শিশু ও কিশোর অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার” বিষয়ক দিনব্যাপী সেমিনার অনুষ্ঠিত

ভুরুঙ্গামারীতে শিলাবৃষ্টি – ফসলের ব‍্যাপক ক্ষতি

কুড়িগ্রামের সীমান্তবর্তী উপজেলা ভুরুঙ্গামারীতে ব্যাপক শিলাবৃষ্টির কারণে অবশিষ্ট ফসলও তুলতে পারবেনা কৃষকেরা।

শনিবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১০ টা ১৫ মিনিট থেকে শুরু হওয়া শিলা-বৃষ্টি চলে পৌনে এগারোটা পর্যন্ত।

অসময়ে টানা দুই সপ্তাহের বৃষ্টিতে কৃষকের ধান ও গম এক প্রকার নিঃশেষের পথে। এরই মাঝে যতটুকু ধান এখনো অবশিষ্ট রযয়েছে জমিতে সেটুকু আর ঘরে তুলতে পারলোনা কৃষক। এর আগে টানা বর্ষণের কারণে গম পচে গিয়ে জমিতেই গাছ গজিয়েছিল। অনেক কৃষক সেগুলোকে আগুন লাগিয়ে খেতেই পুড়িয়ে সার বানাচ্ছে।

দীর্ঘ দিন বৃষ্টির কারনে কৃষক সোনালী আশ খ‍্যাত পাটেরবীজ বপন করতে পারছেনা।উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের দক্ষিণ তিলাই গ্রামের কৃষক আঃরহিম ও চর ভুরুঙ্গামারী ইউনিয়নের হুচারবালাগ্রামের সেকেন্দার আলী বলেন দীর্ঘ আশা নিয়ে ব্রি ধান আটাশ আবাদ করেছি। আগাম বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির কারনে ফসল নষ্ট হয়েছে।আমরা হতাশা গ্রস্থ।

উপজেলার জয়মনিহাটের খাসের ভিটার কৃষক হাফিজ উদ্দিন, নেকাত আলী ও ফয়েজ উদ্দিন বলেন, ধান তো সব শেষ, পানির নিচে তলিয়ে গেছে খরের জন্য কিছু আশাবাদী ছিলাম।ঘন বৃষ্টির কারনে ধান ও খর পযর্ন্ত পচে গেছে। প্রতি বিঘায় ১৪ থেকে ১৫ মণ ধান হলেও পেয়েছি ৫-৬ মনের মত। অবশিষ্ট কিছু ছিল যা পাকার অপেক্ষায় ছিলাম কিন্তু তাও মনে হয় আর পেলাম না।

উপজেলার বাবুরহাটের ওয়াহেদ আলী জানান, গম কেটেছিলাম কিন্তু টানা বৃষ্টিতে জমিতেই পাকা গম থেকে বীজ বের হয়েছে সেগুলো জমিতেই পুড়িয়ে সার হিসেবে রেখেছি। অবশিষ্ট যেটুকু ধান জমিতে ছিল এই শিলা বৃষ্টির কারণে তাও পেলাম না, কি যে হবে এবার বুঝতে পারছি না।

একই উপজেলার আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের চড় ধাওড়ারকুটি গ্রামের মজিবর ও সাত্তার আলী জানান নদীর ধারে নিচু জমিতে আগাম কালিবোরো ধান লাগিয়ে ছিলাম। ধান পাকতে শুরু করেছে। হঠাৎ বৃষ্টির কারনে ধান তলিয়ে যায়।কয়েকদিন পরে জাগতে শুরু করে কিন্তু শনিবারের শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ের কারনে সব সর্বনাশ হয়ে যায়।

ভুরুঙ্গামারী কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এতে প্রায় ৪০ হেক্টর জমির বোরো ধান, ২১ হেক্টর জমির পাট ও প্রায় ১২ হেক্টর জমিতে চাষ করা সবজির ক্ষতি হয়েছে ।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Design & Development BY ThemeNeed.Com