শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:০১ পূর্বাহ্ন
পাকিস্তানের বিচারপতি জামাল খান মান্দোখেল বৃহস্পতিবার বলেছেন, জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি ৩ এপ্রিলের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করার রায় ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু তাতে স্বাক্ষর করেছিলেন স্পিকার আসাদ কায়সার।
সুরি এবং কায়সারের আইনজীবী নাঈম বুখারি ডেপুটি স্পিকারের রায়ের বৈধতা সম্পর্কিত স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় তার যুক্তি উপস্থাপন করার সময় তিনি এই পর্যবেক্ষণ করেছেন বলে জানিয়েছে ডন।
বিচারকের বক্তব্যের জবাবে বুখারি উত্তরে বলেন, সম্ভবত তাকে দেওয়া নথিগুলি আসল নাও হতে পারে।
পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়ালের নেতৃত্বে এবং বিচারপতি ইজাজুল আহসান, বিচারপতি মাজহার আলম মিয়াঁখেল, বিচারপতি মুনিব আখতার এবং বিচারপতি জামাল খান মন্দোখেলের সমন্বয়ে গঠিত পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মামলাটি গ্রহণ করেন।
বুখারি তার যুক্তি এই শুনানি শুরু করে বলেন, যেকোন সময় পয়েন্ট অফ অর্ডার নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে কিনা সেদিকে মনোনিবেশ করবেন। তিনি যুক্তি দেন, সুপ্রিম কোর্ট অতীতে সংসদীয় কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত ছিল এবং স্পিকার ফাওয়াদ চৌধুরীর পয়েন্ট অফ অর্ডার খারিজ করলে আদালত নোটিশ নিত কিনা তা জিজ্ঞাসা করেছিল।
যাইহোক, বুখারি উত্তর দিয়েছিলেন যে যেকোনো সময় একটি পয়েন্ট অফ অর্ডার উত্থাপিত হতে পারে।
‘অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট দেওয়া একটি সাংবিধানিক প্রয়োজন’ বলে বিচারপতি মান্দোখাইল উল্লেখ করে বলেন, ভোটের সাংবিধানিক অধিকার বাতিল করার জন্য যে বিধিগুলি ব্যবহার করায় তিনি অবাক হয়েছেন।
“বিরোধী দলকে পয়েন্ট অফ অর্ডারে দেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল না?” এমন প্রশ্ন রাখেন প্রধান বিচারপতি।
জবাবে আইনজীবী বলেন, এটা নিয়ে বিতর্ক করা যাবে না।
বুখারি জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির কার্যবিবরণীও পেশ করেন, যে সময়ে ‘হুমকির চিঠি’-এর বিষয়বস্তু সংসদ সদস্যদের সঙ্গে ভাগ করা হয়েছিল।