শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ আসিফ খোন্দকার, আইনবিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট ইলিয়াস , যোগাযোগ : ০১৬১৬৫৮৮০৮০,০১৮১১৫৮৮০৮০, ঢাকা অফিস: ৪৩, শহীদ নজরুল ইসলাম রোড, চৌধুরী মল (৫ম তলা), টিকাটুলি ১২০৩ ঢাকা, ঢাকা বিভাগ, বাংলাদেশ মেইল: bdprotidinkhabor@gmail.com চট্টগ্রাম অফিস: পিআইবি৭১ টাওয়ার , বড়পুল , চট্টগ্রাম।
সংবাদ শিরোনাম:
২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য নেবে ইসি টিভি এসোশিয়েশন’র দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি হারুন, সম্পাদক সাইফুল ইসলাম এবার মুক্তিযোদ্ধার জমি দখলে নিলেন যুবদল নেতা ঈদগাঁওতে সড়ক দুর্ঘটনায় চকরিয়ার মোটরসাইকেল আরোহী নিহত চট্টগ্রামে ‘মামলা বাণিজ্য’, পুলিশের বিশেষ সতর্কতা প্রতারকচক্রের কোনো সদস্য প্রলোভন দেখালে ৯৯৯-এ যোগাযোগ করুন চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার থানা এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চোর চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার সৌদি রিয়ালের কথা বলে টাকা নিয়ে লাপাত্তা, পুলিশের জালে আটক ৪ লামায় অবৈধ ৭টি ইট ভাটায় অভিযান ৭লক্ষ টাকা জরিমানা: পার্বত্য জেলায় গত বছর ২১ জনকে হত্যা দেখা গেল চাঁদ, পবিত্র শবে মেরাজ ২৭ জানুয়ারি

ব্যবসায়ী হওয়া কি আমার অপরাধ?

দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ে সংসদে বিরোধী দলের সদস্যদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বিরোধীদের সমালোচনার জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি ব্যবসায়ী এটি বেশি করে বলা হয়। কিন্তু আমি ব্যবসা করছি ৪০ বছর ধরে, আর রাজনীতি করছি গত ৫৬ বছর ধরে। ব্যবসায়ী হওয়া কি আমার অপরাধ?”

মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে “বাণিজ্য সংগঠন বিল-২০২২” পাশের আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি।

বিল পাশের আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধী দলের সাংসদেরা বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী একজন অভিজ্ঞ ব্যবসায়ী হয়েও সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

বিএনপির সাংসদ রুমিন ফারহানা বলেন, “তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে হইচই হলো। ১৫ দিনে সিন্ডিকেট এক হাজার কোটি টাকা উঠিয়ে নিয়েছে। সিন্ডিকেট হলো সরকার। সরকার আর সিন্ডিকেটের মধ্যে পার্থক্য নেই।”

বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশীদ বলেন, “গ্যাসের অভাবে ঢাকায় হাহাকার চলছে। গ্যাসের দাম, তেলের দাম সব বাড়ানো হচ্ছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কিছু উদ্যোগ সরকার নিয়েছে। কিন্তু সেখানে স্বচ্ছতার অভাব আছে। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা জনপ্রতিনিধি হয়ে সম্পদের পাহাড় গড়ছেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। ক্ষমতার বলয়ে থেকে সিন্ডিকেট বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে।”

জাতীয় পার্টির সাংসদ পীর ফজলুর রহমান বলেন, “বাণিজ্যমন্ত্রী সজ্জন মানুষ। কিন্তু তিনি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। যে কারণে প্রায় সময় সিন্ডিকেট দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। মন্ত্রী একজন অভিজ্ঞ ব্যবসায়ী কিন্তু কেন তিনি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। তিনি বলেন, সত্য স্বীকার করতে হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। সিন্ডিকেট করে তেলের দাম বাড়িয়ে হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে। কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেননি।”

বিরোধী সাংসদদের বক্তব্যের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, “যুদ্ধের কারণে ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে, এটা তিনি কখনও বলেননি। প্রতি মাসে তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়। এখন বিশ্ব বাজারে ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে।”

মন্ত্রী আরও বলেন, “সরকার কোথাও ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে না। ব্যবসায়ীদের সহায়তা করে। যে কেউ চাইলে তেল আমদানি করতে পারে। সরকার সিন্ডিকেট এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। তিনি বলেন, একটি টিসিবির ট্রাক থেকে আড়াইশত মানুষকে পণ্য দেওয়া হয়। ছবি দেখানো হয় পণ্যের জন্য মানুষ দৌড়াচ্ছে। ৩০০ জন লাইনে দাঁড়ালে ৫০ জন পাবেন না। বাকি ২৫০ জন যে পণ্য পেয়েছেন সেটা দেখানো হয় না।”

টিপু মুনশি বলেন, “সিন্ডিকেট বলে যাদের কথা বলা হচ্ছে তারা কেউ রাজনীতি করেন না, তারা কেউ এমপি নন। সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে।”

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Design & Development BY ThemeNeed.Com