বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন
মোঃ সেলিম উদ্দিন খাঁন বিশেষ প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজারে বাড়ছে আলু-পেঁয়াজ-রসুনের দাম, কমেছে সবজির কিছু দিন ধরে সবজির বাজার ছিল লাগামহীন। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের জোরালো কোনও পদক্ষেপও চোখে পরেনি। এতে ভোগান্তিতে পড়ে স্বল্প আয়ের মানুষজন। নানা অজুহাতে বাড়ছিল সবজির দাম। সবজির দামের ঊর্ধ্বগতি হঠাৎ করেই কিছুটা থেমেছে। কিন্তু খুব একটা কমেছে এ কথা বলা যাবে না। সবজির দাম কিছুটা কমতে না কমতেই বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজ, আলু, রসুনের দাম। বাজার করতে আসা ক্রেতারা বলছেন, যেভাবে দাম বাড়ছে, হয়তো কিছু দিনের মধ্যেই দুইশ’ টাকায় পেঁয়াজ কিনে খাবো।
পেঁয়াজ-রসুন-আলুর দাম বাড়া নিয়ে বিক্রেতারা বলছেন, সিজন শেষের দিকে বলেই এসবের দাম বাড়ছে। কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ সবজি। শীতের সবজি পুরোপুরি বাজারে আসলে দাম আরো কমার কথা বলছেন বিক্রেতারা। কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে ডালের দাম। উর্ধ্বমূখী দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল, চিনি ও ভোজ্যতেল।
কিছুটা দাম কমলেও এখনো নাগালের বাইরে বেশিরভাগ মাছের দর। কেজিতে ১০ টাকা কমেছে সবধরনের মুরগির দাম।বাজারে আসতে শুরু করেছে শীতকালীন সবজি। তাই ফুলকপি, পাতাকপি আর শীমের প্রতি বাড়তি আগ্রহ বাজার করতে আসা ক্রেতাদের। আগের চেয়ে কমেছে এসব সবজির দাম। তবে এখনো তা আশানুরুপ নয়।
প্রতিপিস ফুলকপি ও পাতাকপি কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হবে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। শীম-বেগুনের দামই কেজিতে এক সপ্তাহে কমেছে ২০ টাকা।
বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়লে দাম আরো কমার সম্ভাবনা দেখছেন ক্রেতারা। সববরাহ বাড়তে শুরু করেছে মাছেরও। তাই দামও কিছুটা কমতির দিকে।
খাল-বিল শুকাতে শুরু করায় দাম কমছে, জানালেন বিক্রেতারা। এখনো বাড়তি মূল্যেই বিক্রি হচ্ছে চাল। সহসাই দাম কমার আভাস নেই বিক্রেতাদের কাছে।
বেড়েছে ডালের দাম। আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে চিনি ও ভোজ্যতেল।কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে ব্রয়লার ১৮০ টাকা কেজি এবং সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি ২৮০ টাকা।