বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১০ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:
চেয়ারম্যান: মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ আসিফ খোন্দকার, আইনবিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট ইলিয়াস , যোগাযোগ : ০১৬১৬৫৮৮০৮০,০১৮১১৫৮৮০৮০, ঢাকা অফিস: ৪৩, শহীদ নজরুল ইসলাম রোড, চৌধুরী মল (৫ম তলা), টিকাটুলি ১২০৩ ঢাকা, ঢাকা বিভাগ, বাংলাদেশ মেইল: bdprotidinkhabor@gmail.com চট্টগ্রাম অফিস: পিআইবি৭১ টাওয়ার , বড়পুল , চট্টগ্রাম।
সংবাদ শিরোনাম:
লোহাগাড়ায় টিলা কাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান লোহাগাড়ায় যৌথ অভিযানে ধারালো অস্ত্র ও মাদকসহ আটক -৪ পেঁয়াজ-মুরগি-সবজিতে কিছুটা স্বস্তি, চলতি বছরের সর্বোচ্চ দামে আলু পপুলার লাইফ এবং অরোরা স্পেশালাইজড হসপিটালের মধ্যে স্বাস্থ্য চুক্তি সম্পাদিত সিএমপির বায়েজিদ বোস্তামী থানার অভিযান নওগাঁর মান্দায় ইজারাকৃত বিলের ৮-৯ লক্ষ্য টাকা মাছ হরিলুটের অভিযোগ চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সাংগঠকি সম্পাদক সুমন গ্রেপ্তার -হাজারি গলিতে যৌথবাহিনীর ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপ নিলামে উঠছে এমপিদের শুল্কমুক্ত ৩৪ গাড়ি হত্যা, চাঁদাবাজি ও ডাকাতিসহ ১৬টি মামলার আসামি বেড়েছে মরিচের দাম, চড়া চালের বাজার মুরগির সঙ্গে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম

বেড়েছে মরিচের দাম, চড়া চালের বাজার মুরগির সঙ্গে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম

মোঃ সেলিম উদ্দিন খাঁন বিশেষ প্রতিনিধি:

চট্টগ্রাম নগরীতে কাঁচামালের বাজারে অন্যান্য সবজির দাম স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। অপরদিকে বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে চাল, পেঁয়াজ ও আলু। গত সোমবার চট্টগ্রাম নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজার, কর্ণফুলী মার্কেট, বাজারসহ অন্য বাজার ঘুরে সংশ্লিষ্ট বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

নগরীর বাজারে শীতের সবজির ফুলকপি ও বাঁধাকপি এলেও দাম তুলনামূলক বেশি। ছোট আকারের একেকটি কপি ৩০-৪০ টাকা পিস, ছোট আকারের লাউ ৪০-৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া মাঝারি আকারের লাউয়ের দাম প্রতিপিস ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে নগরীতে প্রতিকেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।

এছাড়া করলা ৫০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, বেগুন মানভেদে ৫০-৬০ টাকা, টমেটো ১৩০ টাকা, শিম ৯০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, দেশি গাজর ১০০ টাকা, চায়না গাজর ১৫০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়স, শসা, ঝিঙ্গা, কচুর মুখি, মুলা, ধুন্দল, বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া, লেবুর হালি ১০ থেকে ২০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ২৫০ টাকা, কলার হালি ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাক ২০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, মুলা শাক ২০ টাকা, পালংশাক ২০ থেকে ২০ টাকা, কলমি শাক ১৫ টাকা, পুঁই শাক ৫০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।নগরীর হালিশহর সহ কিছু স্থানে দেখা যায় ডজন প্রতি সাদা ফার্মের ডিম ১৪০ টাকা, লাল ফার্মের ডিম ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে খচরা পর্যায়ে পাড়া মহল্লায় ডজন প্রতি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা।

এছাড়া হাঁসের ডিম ডজন প্রতি ২২০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ডজন প্রতি ২৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
মুরগির বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রতিকেজি ব্রয়লার আকার অনুযায়ী মুরগি ১৯০-২০০ টাকা এবং সোনালি মুরগি মানভেদে ২৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া দেশি মুরগি ৫২০ থেকে ৫৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। গরুর মাংসের কেজি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, ছাগলের মাংসের কেজি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে আলু বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। এছাড়া পেঁয়াজ ১৫০ টাকা ও ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ১১০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা এবং আদা ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।এসব বাজারে পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল ৮১৮ টাকা, দেশি মসুর ডালের কেজি ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, কেজিপ্রতি মোটা চাল ৫৭ টাকা, মিনিকেট ৭৩ টাকা, আটাশ চাল ৬১ টাকা, কাটারি নাজির ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাল আমনধানের চাল ৯০ টাকা, সুগন্ধী চিনিগুড়া পোলাও’র চাল ১৩৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চাষের শিং মাছের কেজি (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, রুইয়ের দাম কেজিতে বেড়ে (আকারভেদে) ছয় কেজি ওজনের রুই মাছ ৪০০ টাকা, এক কেজি ওজনের রুই মাছ ২৮০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাঙ্গাশ ২১০ থেকে ২৩০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, বোয়াল ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পোয়া ৪৫০ থেকে ৪৫০ টাকা।এ ছাড়া, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, মলা ৬০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ৩০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৫০০ টাকা, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা ১ হাজার ২০০ টাকা, বাইম ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, দেশি কই ১ হাজার ২০০ টাকা, শোল ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে ৯০০ টাকা এবং কাইক্ক্যা ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।ফৌজদারহাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে ভারতীয় জিরার কেজি প্রায় ৭৮০ টাকা, শাহী জিরার কেজি ১৬৬০ টাকা, মিষ্টি জিরার কেজি ২৪০ টাকা, পাঁচফোড়নের কেজি ২০০ টাকা, মেথির কেজি ১৫০ টাকা, চিনাবাদামের কেজি ১৬০ টাকা, কাজু বাদামের কেজি এক হাজার ৬০০ টাকা, পেস্তা বাদামের কেজি দুই হাজার ৭৫০ টাকা, ত্রিফলার কেজি ১৫০ টাকা, জয়ফলের কেজি ৮০০ টাকা, তেজপাতার কেজি ১৮০ টাকা, সাদা গোলমরিচের কেজি ১ হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৩০০ টাকা, গোলমরিচের কেজি ১ হাজার ২০০ টাকা, ধনিয়ার কেজি ২৫০ টাকা, সরিষার কেজি ১০০ টাকা, কিসমিসের কেজি ৫২০ থেকে ৫৪০ টাকা, এলাচের কেজি তিন হাজার ৮০০ টাকা, কালো এলাচের কেজি ৩ হাজার টাকা, লবঙ্গে কেজি ১ হাজার ৭০০ টাকা, জয়ত্রির কেজি দুই হাজার ৯০০ টাকা, পোস্তদানার কেজি এক হাজার ৮০০ টাকা, আলুবোখারার কেজি ৫৫০ টাকা, দারুচিনির কেজি ৫৫০ টাকা, খোলা হলুদের গুঁড়ার কেজি ৩৭০ টাকা, খোলা মরিচের গুঁড়ার কেজি ৪৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজার ভেদে মসলার দামে রয়েছে ভিন্নতা।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Design & Development BY ThemeNeed.Com