বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন
জেলা প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জ গজারিয়া উপজেলা মুন্সীগঞ্জ সদরে কোটা আন্দোলনে নিহত রিয়াজুল ফরাজী হত্যা মামলায় গজারিয়া উপজেলার ৫ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (২ অক্টোবর) রাতভর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো, তোতা মিয়া বেপারী (৫২), আব্দুল মান্নান (৪২), নূরে আলম (৩৫), মিঠুন মোল্লা (৩৫) ও হারেছ মোস্তফা(৫৬)।
গজারিয়া থানা সূত্রে জানা গেছে, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার (২ অক্টোবর) রাতভর গজারিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক দুই ইউপি সদস্য তোতা মিয়া বেপারী ও হারেছ মোস্তফাসহ ৫ জনকে আটক করা হয়।
আটক নূরে আলমের স্ত্রী মরিয়ম আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকলেও তার উল্লেখ করার মতো কোনো পদ পদবী ছিল না। ঘটনার দিন তিনি বাসাতেই ছিলেন।
দায়ের করা হত্যা মামলায় তার নামও ছিল না। বুধবার রাতে তাকে আটক করা হয়, বৃহস্পতিবার সকালে থানায় এসে শুনি তাকে মার্ডার মামলায় আটক দেখানো হয়েছে’।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় দায়ের করা একটি মামলায় তাদের আটক করা হয়েছে।
সেখানকার থানা পুলিশ তদন্তে প্রাথমিকভাবে তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় বিষয়টি আমাদের জানায়। পরবর্তীতে বুধবার দিবাগত রাতে বিশেষ অভিযানে চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মুন্সীগঞ্জ সদরে নিহত হয় তিন আন্দোলনকারী। তাদের মধ্যে একজন স্থানীয় একটি কারখানার শ্রমিক রিয়াজুল ফরাজী (৩৮)।
রিয়াজুল নিহত হওয়ার ঘটনায় ১৯ আগস্ট রাতে রিয়াজুল ফরাজীর স্ত্রী রুমা বেগম বাদী হয় সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লবসহ ২০৮ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ২০০-৩০০জনকে আসামি করা হয়।