ভুক্তভোগী অনিল চন্দ্র রায় বয়স ষাটোর্ধ (৬৫) উপজেলার হরিনচড়া ইউনিয়নের চার নং ওয়ার্ডের কোটপাড়ায় বাড়ি। সে এলাকার মৃত কাল্ঠু বর্মনের ছেলে।(২৩ ডিসেম্বর) শুক্রবার সকাল দশটার সময় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
ভুক্তভোগীর স্ত্রী মৃত্যু বরন করায় তিন বছরের ব্যবধানে একে একে পাঁচটি পাতানো বিয়ে দেয় সংঘবদ্ধ চক্র অনিল চন্দ্র রায় কে ।পাচ জনের একজন ও এক সপ্তাহের বেশি কেউ সংসার করেনি বৃদ্ধের সাথে। স্বল্প দিনেই প্রতারক চক্রটি বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়ে সোনাদানা মোটা দাগে টাকা ও মেয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। ইতিমধ্যে ১৪/১৫ লক্ষ টাকা ভুক্তভোগীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মুলহোতা একই ইউনিয়নের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে বাবলু (হাস বাবলু),অন্যরা হলো,সবুজ, আঃ লতিফ,কালিপদ,রমাজান আলী জিন, হব্বু সহ অনেকে।
লিখিত সংবাদ সম্মেলন ভুক্তভোগী অনিল চন্দ্র ও তার ছেলে জিতেন,অনুকুল, অতুল রায় বলেন। চক্রটি ভুয়া কাগজ সাজিয়ে তিন বছরে পাঁচটি বিয়ে দেয় আমার বাবা কে।প্রলোভনে বিয়ে গুলো ,আকাশকুড়ি লক্ষিচাপ ইউনিয়নে,গড়েয়া ইউনিয়ন, মাড়েয়া দেবীগঞ্জে,খানসামা এলাকায়। সংবাদ সম্মেলন কালে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের সভাপতি সুরেন্দ্র নাথ রায়, গ্রাম পুলিশ উপেন্দ্র নাথ রায়, প্রমুখ।
অনিল চন্দ্র বলেন তাছাড়া বাবলু,(হাঁস বাবলু)বিবাহিত মেয়েদের বাড়ি যে কোথায় আমাকে দেখায়নি,নাম পর্যন্ত যানিনা। চায়ের দোকান কথা বলে রাতেই স্টাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে বিয়ে দেন।অনিল চন্দ্র আরো বলেন আমার স্ত্রী মারা যাওয়ায় আমি মানষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ি।এর সরলতার সুযোগ নিয়ে তারা বিয়ে গুলো দেন।এখন এলাকার বাবলু (হাঁস বাবুল) তার সাঙ্গপাঙ্গরা,আমাকে,মামলা দিয়ে ফাঁসাবে,মোবাইলে,ডেকে নিয়ে হুমকি প্রদর্শন করছে। অথচ বিয়ের রেষ্ট্রি কাগজ আমাকে না দিয়ে তারাই রেখে দেয়। আমার
জমি বন্দক ও বিক্রি করা ১৪ হতে ১৫ লক্ষ টাকা আমার কাছ থেকে হাতিয়ে অনেক আগেই হাতিয়ে নিয়েছে। বর্তমানে ঠাকুরগাঁও এলাকার মহিলা কে দিয়ে ৬ লক্ষ টাকা দাবি করছে । ইতি মধ্যে একজন মহিলাকে ছাড়াছাড়ি করে ৪ লক্ষ টাকা নিয়ে চলে গেছে চক্রটি । র্যাব দিয়ে ক্রস ফায়ারে দেবে , ডিবি,পুলিশ দিয়ে রাতে তুলে নিবে, হুমকি দেয় প্রতিনিয়ত।
ভুক্তভোগী পরিবারটি ষ্টাম্প ফেরৎ স্বাভাবিক ভাবে জীবন যাপন করার নিশ্চয়তা চেয়ে দোষী ব্যক্তিদের পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনে কাছে বিচার দাবি করেন। ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে ঘটক বাবলু (হাস বাবলু) বলেন ব্যবহৃত মোবাইলটি আমার হারিয়ে যাওয়ায় মেয়ের নাম ঠিকানা মোবাইল নম্বর বলতে পারছি না।
এ বিষয় কথা হলে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল রানা বলেন সম্মেলনে আমি ঢাকায়আছি। তবে শুনেছি এমন ঘটনা এলাকায় কেউ ঘটালে আমি আইনের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহন করব।