শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪১ পূর্বাহ্ন
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের ১২ জন বিচারপতি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত জানিয়ে ফের ভার্সুয়াল কোর্টে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। আজ সোমবার (২৭ জুন) সকালে আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে বিচার বিভাগের প্রধান এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, বর্তমানে আমাদের ১২ জন বিচারপতি করোনায় আক্রান্ত। কোর্ট পরিচালনা করা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।
পরিস্থিতি খারাপ হলে মনে হয় আবার ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা করতে হবে।
প্রধান বিচারপতি এতে আইনজীবীদের সহযোগিতা চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, আদালত পরিচালনায় সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে।
আজ সোমবার (২৭ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী ধারার মধ্যে গতকাল সোমবার ১ হাজার ৬৮০ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়। এর মধ্যে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২৬ জুন) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার ৭২৮টি নমুনা পরীক্ষা করে এই নতুন রোগীদের শনাক্ত করা হয়েছে। আগের দিন শনিবার (২৫ জুন) ১২৮০ জন শনাক্তের খবর এসেছিল। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৬৫ হাজার ১৭৩ জন। তাদের মধ্যে ২৯ হাজার ১৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২০২০ সালের মার্চের শেষ দিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সাধারণ ছুটি ঘোষণা হলে দেশের সব আদালতও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
পরে সুপ্রিম কোর্টের অনুরোধে মামলার বিচার, বিচারিক অনুসন্ধান, দরখাস্ত বা আপিল শুনানী, সাক্ষ্য বা যুক্তিতর্ক গ্রহন, আদেশ বা রায় দিতে পক্ষদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আদালতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার ক্ষমতা দিয়ে আইন করা হয়। এরপর ওই বছরের ১১ মে ভার্চুয়াল আদালতের কার্য্ক্রম শুরু হয়।
এরপর ওই বছরের ৮ জুলাই আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার বিল-২০২০’ সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন। ওইদিন সংসদে ভার্চুয়াল আদালত ‘প্রয়োজন অনুসারে’ চালানোর বিধান রেখে বিল পাস হয়।
পরের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমতে থাকলে প্রথমে কিছু ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারীরিক উপস্থিতিতে নিম্ন আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। পরে হাই কোর্টের কয়েকটি বেঞ্চেও শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারিক কার্যক্রম চালু হয়। পাশাপাশি ভার্চুয়াল আদালতও চালু থাকে।
তবে দেশের সর্বোচ্চ আদালত, অর্থাৎ আপিল বিভাগ এবং চেম্বার আদালত ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মেই চলে আসছিল। এরপর গত বছর ১ ডিসেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচার কাজ শুরু হয়।