শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন
ইউক্রেনে চলমান সংঘাতের কারণে নিজ দেশের নাগরিকদের সেখান থেকে সরিয়ে নিচ্ছে চীন। দেশটিতে অবস্থিত চীনা দূতাবাস জানিয়েছে, তাদের নাগরিকদের একটি দল গতকাল (২৮ ফেব্রুয়ারি) সোমবার ইউক্রেন ছেড়েছে। এরা সবাই চীনা শিক্ষার্থী। রাজধানী কিয়েভ থেকে তারা মল্ডোভার দিকে যাচ্ছেন।
চীন যে শুধু তাদের নাগরিকদেরই ইউক্রেন থেকে সরিয়ে নিচ্ছে এর পেছনে বেশ কিছু কারণ মনে হতে পারে। একটি সম্ভাব্য কারণ হতে পারে যে, বেইজিং হয়তো মনে করছে, রাশিয়াকে এই মুহূর্তে রাগানো উচিত হবে না।
এছাড়া চীন হয়তো ভেবেছিল, রাশিয়া এত দ্রুত ইউক্রেনে ভয়াবহ সংঘাতে জড়াবে না। সে কারণে লোকজনকে আগেই সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি তারা। কিন্তু খুব অল্প সময়েই পরিস্থিতি একেবারেই পাল্টে গেছে।
আরও একটি কারণ হতে পারে চীন হয়তো হিসেব নিকেশ করেছে যে, রাশিয়ার এই আগ্রাসনের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। সবকিছু বিবেচনা করেই এখন দ্রুত লোকজনকে সরিয়ে নিচ্ছে বেইজিং।
এদিকে রাশিয়ার একটি বিশাল সামরিক বহর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। স্যাটেলাইটের ছবিতে দেখা গেছে, সামরিক ওই বহরটি প্রায় ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ। স্যাটেলাইট কোম্পানি ম্যাক্সার টেকনোলজি সম্প্রতি ওই ছবি প্রকাশ করেছে।
স্যাটেলাইটের ছবি বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, ইউক্রেন সীমান্ত থেকে ২০ মাইলের কম দূরত্বে অবস্থান করছেন রুশ সেনারা। তাদের সঙ্গে সামরিক যান, যুদ্ধ বিমান ও হেলিকপ্টার বেলারুশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থান করছে। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলছে, রাশিয়ার সেনাবাহিনী রাজধানী কিয়েভের উপর হামলা শুরু করেছে।
ওই বহরটিতে কয়েকশ সামরিক যান রয়েছে এবং তারা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উত্তরে ইভানকিভ শহরের কাছাকাছি আছে বলে জানিয়েছে ম্যাক্সার।
সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে,গতকাল (২৮ ফেব্রুয়ারি) সোমবার রাশিয়ার ওই সামরিক বহরটিকে নিবিড় নজরদারিতে রেখেছে হোয়াইট হাউজ। বেশ কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তা সিএনএনকে জানিয়েছেন, এত বড় সামরিক বহর নিয়ে তারা বেশ উদ্বিগ্ন।
গত (২৪ ফেব্রুয়ারি) বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। টানা কয়েকদিন ধরেই দুপক্ষের মধ্যে লড়াই চলছে। এদিকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে গতকাল (২৮ ফেব্রুয়ারি) সোমবার দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবারও সংঘাত চলতে দেখা গেছে।