বাংলাদেশ প্রতিদিন খবর
- শনিবার ১১ জুন, ২০২২ / ১৮৯ জন দেখেছে

পাবনা মানসিক হাসপাতালে জহুরুল হোসেন (৪৩) নামের এক মানসিক রোগী গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে।গতকাল (১০ জুন) শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে। জহুরুল চাপাইনবাবগঞ্জের আড়াইপুর গ্রামের এহসান আলীর ছেলে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. আঞ্জুমানী ফেরদৌস জানান, জহুরুলকে চলতি বছরের ২ মে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে হাসপাতালের জানালার সাথে গলায় ফাঁস নিয়ে সে আত্মহত্যা করে। এ সময় সেখানে দুইজন নার্স ও একজন ওয়ার্ডবয় কর্মরত ছিল। মৃত জহুরুলের পরিবারের পক্ষ থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ করা হয়েছে।
পাবনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, জহুরুলের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে তার আত্মীয়স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত মামলা দয়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রতন কুমার রায়কে মুঠো ফোনে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই রোগীর কোন তথ্য তার জানা নেই। আমি চাটমোহরে আছি। তবে হাসপাতাল থেকে ফোনে আমাকে জানানো হয়েছে চাপাইনবাবগঞ্জের জহুরুল নামের এক রোগী আত্মহত্যা করেছে।
মানসিক হাসপাতালের একাধিক সূত্র জানায়, হাসপাতালের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. রতন কুমায় রায়ের নানা অসাধুতা, প্রশাসনিক অদক্ষতা ও অনৈতিক স্বার্থ হাসিলের সুযোগে হাসপাতালের কর্মরত ডাক্তার, নার্স, ওয়ার্ডবয়সহ অন্যরা গাফিলতি ও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেনা। পরিচালকের অপকর্ম ফাঁস হয় এই ভীতিতে তিনি কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন না। ঘটনার দিন কর্তব্যরত নার্স ও ওয়ার্ডবয় প্রতিদিনের মত ঘুমিয়ে ছিলেন। যার কারনে প্রকাশ্যে ভোর বেলায় এ ঘটনা ঘটলেও তারা সেটা প্রতিহত করতে পারেনি।
পাবনা মানসিক হাসপাতালে পরিচালকের জন্য একটি আবাসিক ভবন থাকলেও ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সে ভবনে থাকেন না। তিনি চাটমোহর উপজেলাতে পূর্বের কর্মস্থলে বসবাস করেন এবং সেখানে সুমাইয়া মেডিকেল হলে চেম্বার করেন। পাবনার মানসিক হাসপাতালটি একটি বিষেশায়িত হাসপাতাল। এখানে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে পরিচালক পদে না দেয়ায় রোগীদের সেবা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন হচ্ছে বলেও অভিযোগ আছে।