শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন
ল্যাম্পি স্কিন ডিজিস ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি চর্মরোগ যা শুধুমাত্র গরু ও মহিষের হয়। গবাদি প্রাণীতে আফ্রিকার জাম্বিয়াতে এ রোগটি ১৯২৯ সালে প্রথম দেখা যায়। বাংলাদেশে ২০১৯ সালে এ রোগটি প্রথম সনাক্ত হয় যা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। রোগটি নিয়ন্ত্রণে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর সচেতনতা মুলক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
ভুরুঙ্গামারী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোছাঃ শামীমা আক্তার বলেন, রোগটি মশা ও মাছি, আঠালী এবং মাইটের মাধ্যমে দ্রুত এক প্রাণী হতে অন্য প্রাণীতে ছড়ায়। আক্রান্ত প্রাণী এক স্থান হতে অন্য স্থানে পরিবহনের মাধ্যমে, লালা, দুধ এবং আক্রান্ত প্রাণীর সংস্পর্শের মাধ্যমেও রোগটি ছড়াতে পারে। এছাড়া আক্রান্ত প্রাণীর ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি এবং পরিচর্যাকারী মাধ্যমেও রোগটি ছড়ায়।
তিনি আরও জানান, রোগটি নিয়ন্ত্রনে স্বাস্থবিধি মেনে খামার পরিষ্কার রাখা, জীব নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, কীটপতঙ্গ, মশা-মাছি নিয়ন্ত্রন করে আক্রান্ত প্রাণী দ্রæত অন্য স্থানে সরিয়ে পৃথকভাবে চিকিৎসা ও পরিচর্যা করে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত চারণ ভূমিতে না নেয়া। কোন প্রাণী আক্রান্ত হলে ক্ষতস্থান টিংচার আয়োডিন, পভিসেপ বা ০.১% পটাসিয়াম পার ম্যাঙ্গানেট দ্বারা সকাল বিকাল ধৌত করা সহ নিয়মিত টিকা প্রদান করার পরামর্শ দিয়েছেন।
রোগটি যেন এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে না পরে সেজন্য উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ গরু-মহিষ লালন-পালনকারীদের সচেতনতা সহ পরামর্শ দিয়ে টিকা কার্যক্রম অব্যাহত রেখে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।