শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১৪ পূর্বাহ্ন
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দেশে অনেক উন্নতি হয়েছে বলে যানবাহন বেড়েছে। এতে যানজটও বেড়েছে। এমন মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
সোমবার (১১ এপ্রিল) ঢাকা ইউলিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডুরা) আয়োজিত ‘অসহনীয় যানজট: সমাধান কী?’ শীর্ষক ‘ডুরা সংলাপে’ মন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার টানা ১৩ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। এ কারণে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘এই ১৩ বছরে অনেকগুলো উন্নতির কারণেই ট্রাফিক সিস্টেমটা আমাদের কাছে একটা মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্রাফিক সমস্যা নেই পৃথিবীতে এমন জায়গা নাই। আমরা যে পরিস্থিতিতে আছি তা মাথায় রেখে সমাধানের চিন্তা করতে হবে।’
এর আগে গত সপ্তাহে জাতীয় সংসদে একটি বিলের ওপর একটি আলোচনায় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছিলেন, বাংলাদেশের মানুষের গড় আয় বেড়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সাড়ে চার হাজার ডলার মাথাপিছু আয়ের দেশ হবে। তখন এর বহুমুখী প্রভাব পড়বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে।
আলোচনায় বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, ‘ঢাকায় অনেক মেগা প্রজেক্ট করা হলেও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে সেগুলো কাজে আসেনি।’
তিনি বলেন, ‘আমি অনেক বিনিয়োগ করতে পারি, কিন্তু রাস্তা ঠিক নেই। ভূমি ব্যবহারের পথ আমরা রাখিনি। এসব কারণে আমরা এসব প্রকল্পের সুফল পাচ্ছি না। সমস্যার সমাধানে গণপরিবহনের অবকাঠামো বানাতে হবে। ফ্যাঞ্চাইজির আওতায় বাস চালাতে হবে।’
স্থপতি মোবাস্বের হোসেন বলেন, ‘১১৪ জন সচিব, অতিরিক্ত সচিবদের যদি বিশ্বমানের অত্যাধুনিক বাস বা মিনিবাসে করে সচিবালয়ে নিয়ে আসা হয় তাহলে ওই ১১৪টি গাড়ি রাস্তায় বের হবে না। প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা বাস্তবায়নে সবাইকেই কাজ করতে হয়।’
ঢাকায় যানজট সমস্যার সমাধানে কেউ দায়িত্ব নিচ্ছে না। চাইলে এখনও এ সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে জানিয়েছেন ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন।
তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের পুলিশ ঘোষণা দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে অবৈধ গাড়ি পার্কিং, ফুটপাত দখলমুক্ত করেছে। এভাবে কাউকে না কাউকে দায়িত্ব নিতে হবে।’
ডুরার সভাপতি রুহুলে আমিনের সভাপতিত্বে সংলাপ সঞ্চালনা করেন ডুরার সাধারণ সম্পাদক শাহেদ শফিক।
এতে ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক শ্যামল দত্ত, রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম, যানজট ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ মো. আসাদুর রহমান মোল্লা বক্তব্য রাখেন।