শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন
ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট নিয়ে নাটকীয়তার শেষ নেই। ক্ষমতা ধরে রাখতে সব চেষ্টাই করে যাচ্ছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। দেশটির সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে, আজ (৯ এপ্রিল) শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে (বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টা) পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত তা দেখা যায়নি। বরং বিভিন্ন অজুহাতে অধিবেশন বারবার পেছানো হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবারের রায়ে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত স্পষ্ট বলে দিয়েছিলেন, ভোটাভুটিতে কোনোভাবেই দেরি করা যাবে না। কিন্তু তারপরও নির্ধারিত সময় অনুষ্ঠিত হয়নি আলোচিত এই ভোটগ্রহণ।
সকালে অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার আসাদ কায়সার বলেন, ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার বিষয়ে ‘বিদেশি ষড়যন্ত্র’ নিয়ে পার্লামেন্টে বিতর্ক হোক। তার এ ঘোষণার তীব্র প্রতিবাদ শুরু করেন বিরোধীরা। তাদের দাবি, সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসারে যথাসময়ে অনাস্থা ভোট হতে হবে।
এরপর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি বক্তব্য শুরু করলে পার্লামেন্টে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, ডেপুটি স্পিকার সাংবিধানিক প্রক্রিয়া প্রত্যাখ্যান করেননি। বরং ‘বিদেশি ষড়যন্ত্রের’ পরিপ্রেক্ষিতে অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা দরকার ছিল।
তার এ কথার প্রতিবাদে পার্লামেন্টের ভেতর তুমুল স্লোগান দিতে শুরু করেন বিরোধীরা। পরে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করেন স্পিকার। কিন্তু এরপর নির্ধারিত সময় পার হলেও অধিবেশন শুরু হয়নি। একপর্যায়ে জোহরের নামাজের পর শুরুর কথা থাকলেও অপেক্ষা শুধু বাড়ছিলই।
এতে ইমরান খানের সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়। সর্বোচ্চ আদালতের রায় মেনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তিনি বিরোধীদের মুখোমুখি হবেন কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।তবে সব জল্পনা-কল্পনা শেষে বিকেল ৪টার দিকে ফের শুরু হয়েছে অধিবেশন। তবে ভোটগ্রহণ এখনো অনিশ্চিত।
ইফতার তথা স্থানীয় সময় রাত ৮টার পরে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সূত্রের বরাতে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, পার্লামেন্টের অধিবেশন ইচ্ছা করে বিলম্বিত করা হচ্ছে এবং পিটিআই মন্ত্রীরা তাদের বক্তব্য দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করতে পারেন।
জ্যেষ্ঠ উপস্থাপক হামিদ মীর জানিয়েছেন, পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিরতির পরেও তার ভাষণ চালিয়ে যাবেন। তাকে কমপক্ষে তিন ঘণ্টা বক্তব্য রাখার নির্দেশ দিয়েছেন ইমরান খান।