শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩২ অপরাহ্ন
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় রুবেল আহমদ (২৮) নামে এক যুবককে নৃসংশভাবে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় নিহত রুবেলের ভাই সুমন আহমদ (১৭) কেও পিটিয়ে গুরুতর আহত স্থানীয় সন্ত্রাসীরা।
গতকাল (৮ এপ্রিল) শুক্রবার বিকেলে উপজেলার সদর ইউপির কেছরিগুল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রুবেল সদর ইউপির কেছরিগুল গ্রামের মৃত সইফ উদ্দিনের ছেলে এবং সে পেশায় রাজমিস্ত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, বড়লেখা সদর ইউনিয়নের মেম্বার সাবুল আহমদ ও তার ভাই নবাব আহমদ গংরা তাকে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
এবং তার ভাই সুমনকে হত্যার উদ্দেশ্যে পিটিয়ে আহত করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বড়লেখা সদর ইউপির কেছরিগুল গ্রামের সাইদুল ইসলাম, আজির উদ্দিন, নাজিম উদ্দিন, মাহমুদুর রহমান ও মাইজপাড়া গ্রামের সুহেল আহমদ।
এই ঘটনায় গতকাল (৮ এপ্রিল) শুক্রবার রাতেই থানায় মামলা হয়েছে। নিহত রুবেলের ছোট ভাই ফয়ছল আহমদ বাদি হয়ে মামলাটি করেছেন। মামলায় বড়লেখা সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার সাবুল আহমদ ও তার ভাই সাবেক মেম্বার সরফ উদ্দিন নবাবসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ ও আরো ১৫-১৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
নিহত রুবেলের চাচাতো ভাই এমরান আহমদ শুক্রবার রাতে সাংবাদিকদের বলেন, গতকাল (০৮ এপ্রিল) শুক্রবার জুমার নামাজের সময় আমাদের এলাকার (কেছরিগুল) মসজিদে প্রতিবেশী জনৈক জামাল আহমদের সঙ্গে বড়লেখা সদর ইউনিয়নের মেম্বার সাবুল আহমদ ও তার ভাই নবাব আহমদ গংদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে স্থানীয় এলাকার লোকজন বিষয়টি সমাধান করে দেন।
আসরের গতকাল (০৮ এপ্রিল) (শুক্রবার) নামাজের সময় জামাল আহমদের ছেলে ও ভাতিজাদের সঙ্গে সদর ইউপির মেম্বার সাবুল আহমদের ভাই নবাব আহমদ গংদের ছেলে ও ভাতিজাদের ঝগড়া হয়। ঘটনার সময় আমার চাচাতো ভাই রুবেল আহমদ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এসময় তাকে (রুবেলকে) জনৈক জামাল আহমদের পক্ষের লোকজন ভেবে আটকে রেখে মারধর শুরু করেন ইউপির মেম্বার সাবুল আহমদ ও তার ভাই নবাব আহমদ গংরা। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। রুবেলকে বাঁচাতে গিয়ে তার ভাই সুমন আহমদও আহত হন।
পরে স্থানীয়রা রুবেলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা মৃত ঘোষণা করেন। বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার শুক্রবার রাতে মুঠোফোনে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছি। সাবুল মেম্বার ও তার ভাই-ভাতিজা মিলে একজন পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।’