রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩২ অপরাহ্ন
যেকোনো মূল্যেই হাতি হত্যা বন্ধ করতে হবে। হাতি সহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী নিধনের যেকোনো অপচেষ্টা প্রতিরোধে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করছে। বন্যহাতি নিরীহ প্রানী। তাদেরকে হত্যা করা যাবেনা। তিনি আরও বলেছেন, হাতি চলাচলের প্রচলিত রাস্তা ও করিডোর পুনরুদ্ধার ও পুনঃ বনায়ন করা হচ্ছে। হাতির খাবারের জন্য কলাগাছ এবং অন্যান্য তৃণ জাতীয় উদ্ভিদের চাষ করা হবে।
জনসচেতনতা সৃষ্টিসহ হাতি হত্যার শাস্তি এবং হাতির কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট বন বিভাগের কর্মীদের হাতি মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসন, লোকালয়ে হাতি প্রবেশ করলে বনে ফিরানো, মানুষকে সচেতন করার কৌশল ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
গতকাল (১৫ মার্চ) মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের আয়োজনে লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া বনরেঞ্জ কর্তৃক সামাজিক বনায়নের উপকারভোগী এবং বন্যহাতি কর্তৃক ক্ষতিগ্রস্ত জনসাধারণের নিকট ক্ষতিপূরণের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বন পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার এমপি এসব কথাগুলো তুলে ধরেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম-১৫ সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ড.আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি বলেছেন, বর্তমান সরকার বন্য প্রানী রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশ এখন বিভিন্ন খাতে দুর্বার গতিতে এগিয়ে গেছে। বন্যহাতির জন্য আমাদের এলাকায় সুন্দর পরিবেশ রয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় আমাদেরকে আরও সচেতন হতে হবে। বন্যহাতি হত্যা করা যাবে না। সাতকানিয়ায় ইকো পার্ক নির্মাণে দ্রুত কাজ বাস্তবায়নে মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্ট কামনা করেছেন তিনি।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বন অধিদপ্তরের বন সংরক্ষক মোঃ আমির হোসাইন চৌধুরী,লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুল,চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাশ,উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক শাহ চৌধুরী, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য,এমপি পত্নী রিজিয়া রেজা চৌধুরী, লোহাহাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান হাবীব জিতু, সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুুহাম্মদ শিবলী নোমান,পদুয়া সহকারী বন সংরক্ষক এটিএম আজহারুল ইসলাম, পদুয়া বনরেঞ্জ কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম,চুনতি বনরেঞ্জ কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহিনুর রহমান বিপ্লব,লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আতিকুর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন হিরু প্রমুখ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে লোহাগাড়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুচ্ছাফা চৌধুরী,পদুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মুহাম্মদ হারুনুর রশিদ প্রকাশ আর্মি হারুন, পদুয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মুহাম্মদ জহির উদ্দিন, লোহাগাড়া প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ,লোহাগাড়া বটতলী শহর উন্নয়ন কমিটর সদস্য সচিব মুহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজানসহ বনবিভাগের সকল কর্মকর্তা,জন প্রতিনিধি,সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা উপস্হিত ছিলেন।অনুষ্ঠান শেষে ৯৫জন উপকারভোগীদের মাঝে ৮২ লক্ষ ৬৯হাজার ৬৮৭ টাকা এবং বন্যা হাতির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ৩৪ জনকে ২২ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।