শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:০২ অপরাহ্ন
সোহেল রানা,রাজশাহী, প্রতিনিধি:
পবায় প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত যুবদল নেতার পিতা আলাউদ্দিন (৬০)এর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারী) বাদ আসর উপজেলার নওহাটা পৌরসভার ভুগরইল গ্রামে জানাযার নামাজ শেষে দাফন সম্পন্ন হয়।
জানাযার নামাজে উপস্থিত ছিলেন নওহাটা পৌর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম ইসলাম রফিক, সাবেক সভাপতি ও নওহাটা পৌর সাবেক মেয়র শেখ মো. মকবুল হোসেন, পৌর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম পিটার, সাংগঠনিক সম্পাদক-২ মিজানুর রহমান, বড়গাছি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা সোহেল রানা, বিএনপি নেতা গোলাম মুর্তজা, আব্দুল হামিদ, নাজির উদ্দিন মোল্লা, মনির হোসেন, ওয়াদুদ হাসান পিন্টু, আলেফ উদ্দিন, নওহাটা পৌর সাবেক কাউন্সিলর মকছেদ আলী, আবু সুফিয়ান ও জিন্নাত আলী, বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান দুলাল, আজাদ আলী, সুজন আলী প্রমুখ।
জানা যায়, মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সালাহউদ্দিন মিন্টুর বাড়ি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়। দরজা ভেদ করে একটি গুলি বাড়িতে ঢোকে। এতে আহত হন মিন্টুর বাবা আলাউদ্দিন। গুলিটি তার কোমরে লেগেছিল। রাতেই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বেলা ৩টার দিকে তিনি অপারেশন থিয়েটারে মারা যান।
নিহতের ছেলে সালাহউদ্দিন মিন্টু জানান, তাদের এলাকায় দুপক্ষের টাকা-পয়সা নিয়ে একটা বিরোধ ছিল। এর মীমাংসার জন্য রাতে উভয়পক্ষ রাজশাহীর এয়ারপোর্ট থানায় বসেছিল। একপক্ষের একটি ছেলে তার ‘ছোট ভাই’। এ জন্য তিনিও গিয়েছিলেন। থানায় মীমাংসাও হয়ে যায়। এরপর তিনি বাড়ি ফেরেন। এর আধাঘণ্টা পরই তার বাড়ি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়।
এ ঘটনায় জড়িত হিসেবে ভুগরইল শিহাবের মোড় এলাকার কয়েকজনের নাম জানিয়ে মিন্টু বলেন, ‘তারা ১০-১২ জন এসেছিল। সবাই টোকাই, মাদকাসক্ত। তারা গুলিবর্ষণ করেছে।’ মিন্টু যখন কথা বলছিলেন, তখন তার বাবার অস্ত্রোপচার চলছিল। তিনি জীবিত ছিলেন। চিকিৎসার ব্যস্ততা শেষে মিন্টু মামলা করবেন জানিয়েছিলেন।