শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৪ অপরাহ্ন
মোঃ সেলিম উদ্দিন খাঁন বিশেষ প্রতিনিধি:
দেশের ৬৯টি কারাগারের মধ্যে ১৭টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কারা মহাপরিদর্শক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ মোতাহের হোসেন।বুধবার (৪ ডিসেম্বর) কারা সদর অধিদপ্তরে কারাগারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, ‘আমাদের কারাগারগুলো অনেক পুরনো। সরকারও এ বিষয়ে জানেন। এজন্য বেশ কিছু কারাগার নতুন করে তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কারাববন্দিদের খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ বৃদ্ধি, অসুস্থ হলে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স সেবা, প্রতি একমাসে তাদের আইনজীবী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়াসহ গত তিন মাসে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি আমরা।’মোতাহের হোসেন বলেন, ‘যোগাযোগের ক্ষেত্রে আদালতের আদেশ ছাড়াও সব ধরনের বিচারাধীন বন্দী প্রতি ১৫ দিনে এবং সাজাপ্রাপ্ত বন্দি ৩০ দিনে আইনজীবীসহ একবার পরিবারের সর্বোচ্চ পাঁচজন সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাত করতে পারেন।’তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক বন্দিই প্রতি সাত দিনে একবার আইনজীবীসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তিনটি নম্বরে ১০ মিনিটের জন্য কথা বলার সুযোগ পান।
শ্রেণিপ্রাপ্ত বন্দিরা দিনে দুবেলা এবং অন্য সব বন্দি দিনে একবেলা আমিষ জাতীয় খাবার পান।’তিনি আরও বলেন, ‘কারাগারের অভ্যন্তরের ক্যান্টিনে পণ্যের দাম ন্যায্যতার সঙ্গে নির্ধারণ করে ক্যান্টিন সুবিধা সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। তবে ব্যক্তি বিশেষে মাসিক সর্বোচ্চ ব্যয় নির্ধারণ করে দেওয়ার উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়েছে।
বিএসএমএমইউতে সাবেক এমপি আসাদুজ্জামান নূরের সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যখন আমরা বন্দিদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাই, তখন আমাদের রক্ষীরা উপস্থিত থাকেন। সেদিনও ছিল।
তারা সে সময় ব্যবস্থা নিয়েছে।’তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ১৫ জন জঙ্গি এবং ৭০ জনের মতো আসামি পলাতক আছে। তবে আমরা কাউকে জঙ্গি বলছি না। আদালত থেকে তারা জঙ্গি হিসেবে এসেছে।
আমাদের অবকাঠামোগত কিছু দুর্বলতা আছে। সেগুলো সমাধানের জন্য সরকারের কাছে আমরা প্রস্তাবনা দেব।’এ ছাড়াও কারা মহাপরিদর্শক বলেন, ‘গত ৫ অগাস্ট পরবর্তী সময়ে ৫০ হাজারের মতো বন্দি ছিল। এই সংখ্যা কমে আসলেও এখন আবার তা বেড়ে ৬৫ হাজারের মতো হয়েছে।
‘সবশেষে দেশের সব হাসপাতালে প্রিজন সেল না থাকায় বন্দিদের চিকিৎসা ক্ষেত্রে কিছু দুর্বলতা থাকার কথা স্বীকার করেন তিনি এবং তা কাটিয়ে উঠার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।