শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৭ অপরাহ্ন
নিজিস্ব প্রতিনিধি,ঈসা মোহাম্মাদঃ
আগামী ১১ ফ্রেবুয়ারী ৩য় বারের মত হ্যালো চিটাগাং নামের একটি ফেসবুক পেইজ এওয়ার্ডের আয়োজন করতে যাচ্ছে।২৭টি ক্যাটাগরিতে তারা চট্টগ্রামের নাম ব্যবহার করে ‘বেস্ট অব চট্টগ্রাম” এওয়ার্ড এর আয়োজন করেছে। যেখানে একটি ফেসবুক পেইজ ও গ্রুপ এর মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অনলাইন ভোটিং সিস্টেমেরও আয়োজন করা হয়, যেখানে ২০ শতাংশ বিচারের রায় দিবেন জনগণ আর ৮০ শতাংশ রাখা হয়েছে বিচারক মন্ডলীর জন্য ।এ নিয়ে নেটিজদের মধ্যে প্রচুর আলোচনা সমালোচনা তৈরি হয়েছে নেট দুনিয়ায়।
চট্টগ্রামের ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে এ আয়োজনে কোন ছিটে ফোটার অস্তিত্ব না থাকলেও চট্টগ্রামের নাম অর্থাৎ “বেস্ট অব চিটাগাং” শব্দটি ব্যবহার করায় চট্টগ্রামের সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে নানা রকম প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।মুঠোফোনে আয়োজক রিয়াদ খানকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি “সি ভিশনকে” বনলেন আয়োজন হলে তর্ক-বিতর্ক আলোচনা সমালোচনা থাকবে।
তবে চট্টগ্রামে এ ধরণের আয়োজনে কারো অনুমতি লাগে কিনা প্রশ্নের জবাবে এ ধরণের আয়োজনে কারো অনুমতি লাগে না বলে সাফ জানিয়ে দেন রিয়াদ খান।আয়োজক রিয়াদ খান এ আয়োজনে টিকটক ক্যাটাগরীর মত প্লাটফর্ম চট্টগ্রামকে রিপ্রেজেন্ট করে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অবশ্যই করে এমন উত্তর দেন আয়োজক।
কোন প্রকার অনুমতিপত্র না নিয়ে ভোটিং আয়োজনে “মিল কল” নামক রেস্টুরেন্টের নাম অন্তর্ভুক্ত করায় পরিচালক নাজমুল আনোয়ার সিএমপি কমিশনার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন ২ই ফেব্রুয়ারী ।
অভিযোগে আয়োজক এ ধরণের আয়োজনের অধিকার রাখেন কিনা এবং চট্টগ্রামে মানী ব্যক্তিদের বিতর্কিত করতে পারে কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখার সুদৃষ্টি কামনা করেন নাজমুল আনোয়ার ।
যে কেউ যে কোন বিষয় নিয়ে তার ব্যক্তিগত গন্ডিতে অনেক কিছুই করতে পারেন তবে অনলাইন প্লাটফর্ম সবকিছুর মানদণ্ড নয়, চট্টগ্রাম সবার তাই বলে এখানে “বেস্ট অব চট্টগ্রাম শব্দটির ব্যবহারের মাধ্যমে কারো ব্যবসায়ীক ক্ষতি, কারো মানহানী, গুণি ব্যক্তিদের বিতর্কিত করা মোটেই কাম্য নয় বলে অভিমত ব্যক্ত করেন চট্টগ্রামের সাধারণ জনগণ।