রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৮ অপরাহ্ন
বিশ্বজয় বলে কথা। তাইতো মেসিদের উদযাপনও শেষ হচ্ছে না কিছুতেই। কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ৩৬ বছর বিশ্বকাপ খরা কাটিয়েছে দিয়াগো ম্যারাডোনার দেশ। দেশে দেশে এখন মেসি-ডি মারিয়াদের বন্দনা চলছে। তামাম ফুটবল দুনিয়ার চোখ এখন আর্জেন্টিনার দিকে। এবার সোনার ট্রফি নিয়ে কাতার থেকে নিজভূমে ফিরেছেন লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা।
দোহা থেকে রোম হয়ে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টায় ইজিজা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিবর্তে অ্যারোপার্কে অবতরণ করে মেসিদের বহনকারী বিমান। ততক্ষণে বুয়েন্স আয়ার্সে ছিল অপেক্ষমান মানুষের ঢল।
বিমান থেকে বের হওয়ার সময় ফুটবলে সদ্য ‘অমরত্ব’ পাওয়া লিওনেল মেসি ডান হাতে সোনার ট্রফি উঁচিয়ে ধরেন। যেন দেশবাসীর প্রতি এই তার স্বপ্নের অর্ঘ্য নিবেদন।এই আরাধ্য মুহূর্তের নাগাল পেয়ে উল্লাসে ফেটে পড়েন আর্জেন্টাইনরা। তারা বিজয়ের ধ্বনি তুলে আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত করেন। যেন গোটা পৃথিবীরা তাদের হাতের মুঠোয় তুলে দিয়েছেন স্বপ্নপূরণের মহানায়ক মেসি। এসময় মেসির পাশে স্কালোনিকে দেখা যায়।
এসময় বিশ্বজয়ের আনন্দে হাজার হাজার মানুষ পতাকা নেড়ে, স্লোগানে স্লোগানে মেসিদের অভিবাদন জানায়। হাত নেড়ে তাদের অভিবাদনের জবাব দেন বিশ্বকাপ জয়ীরা।
১৯৮৬ সালে ম্যারাডোনার নেতৃত্বে মেক্সিকোর মাটিতে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। এরপর ছিল কেবলই অপেক্ষার পালা। ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ২০১৪ বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠলেও জার্মানির কাছে শেষ মুহূর্তের গোলে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল মেসি, ডি মারিয়া, গঞ্জালো হিগুয়েনদের। ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপেও সুবিধা করতে পারেনি আকাশী-সাদা জার্সিধারীরা।
তবে ব্রাজিলকে হারিয়ে সবশেষ কোপা আমেরিকা শিরোপা জয়ের পর টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থাকা এক দল নিয়েই এবার স্বপ্নপূরণের মিশনে কাতারে এসেছিলেন মেসিরা। শেষ পর্যন্ত তাদের মাথায় উঠেছে বিশ্বজয়ের রাজমুকুট। তিন যুগের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে মেসিরা এখন ‘তিন তারকা’ খচিত চ্যাম্পিয়ন।দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে বিশ্বকাপ জয়ের পর মেসিদের এই উদযাপন আরও কতদিন চলে সেদিকেই এখন চোখ থাকবে ফুটবলপ্রেমীদের।