রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৮ অপরাহ্ন
বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ হেরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নজির বেশি দূরে নয়। ২০১০ বিশ্বকাপে সুইজারল্যান্ডের কাছে ১-০ গোলে হার দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করে শেষ পর্যন্ত ট্রফি নিয়ে ঘরে ফিরেছিল স্পেন। স্পেনের পর একই ঘটনা ঘটানোর পথে আর্জেন্টিনা। সৌদি আরবের কাছে ২-১ গোলে ম্যাচ হেরে শুরু করা মেসিরা এখন কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে। শিরোপা আর আর্জেন্টিনার মাঝে দূরত্ব এক ম্যাচ। যে ম্যাচে প্রতিপক্ষ হবে ফ্রান্স কিংবা মরক্কো।
লিড নিয়ে ২-১ গোলে সৌদির কাছে আর্জেন্টিনার হারের পর মন ভেঙে গিয়েছিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তাদের অসংখ্যা ভক্ত-সমর্থকের। শুরুর সেই বিপর্যয় কাটিয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ১৯৮৬ সালের চ্যাম্পিয়নরা। একটি একটি করে ম্যাচ জিতে ৮ বছর পর আবার তারা ফাইনালে।
দলের অধিনায়ক ও বড় তারকা লিওনেল মেসি বলেছেন, ‘আমরা সৌদির কাছে হারের পর প্রতিটি ম্যাচকেই ফাইনাল মনে করে খেলেছি। শুরুর হারটা আমাদের জন্য ছিল একটা বড় আঘাত। কারণ, আমরা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থেকে কাতার বিশ্বকাপে খেলতে এসেছিলাম। আমরা কখনো ভাবতে পারিনি সৌদি আরবের কাছে হেরে যাবো। এভাবে বিশ্বকাপ শুরুটা ছিল আমাদের কাছে অপ্রত্যাশিত। পুরো দলের জন্য এটা ছিল একটা অ্যাসিড টেস্ট। তবে সবাই প্রমাণ করেছে আমরা কতটা শক্তিশালী।’
বাকি পথটা পাড়ি দেওয়া কঠিন ছিল উল্লেখ করে মেসি বলেন, “আমরা বাকি সব ম্যাচ জিতেছি। এটা ছিল একটা কঠিন কাজ। সব ম্যাচ ছিল ফাইনালের মতো। আমরা সচেতন ছিলাম। কারণ, কোন ম্যাচ জিততে না পারলে আমাদের জন্য বিশ্বকাপটা কঠিন হয়ে যাবে। আমরা পাঁচটি ‘ফাইনাল’ ম্যাচ জিতে এসেছি।”
কাজটি কঠিন হলেও তারা আত্মবিশ্বাসী ছিল উল্লেখ করে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ ও আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। কারণ, আমরা জানতাম দল হিসেবে আমরা কি করতে পারি, কতটা সামর্থ্য আমাদের আছে। প্রথম ম্যাচের হারটা আমাদের আরও শক্তিশালী করতে সহযোগিতা করেছে। এখন আমরা বিশ্বকাপটা এনজয় করছি। এই কাতারে এবং দেশে সমর্থকদের মধ্যে যে খুশি দেখছি তা আমাদের আনন্দিত করছে। এখন নিজেরা আরও বেশি শক্তিশালী অনুভব করছি।’
এই বিশ্বকাপ মেসির শেষ সেটা নিজেও উল্লেখ করেছেন, ‘এখন আমি খুশি অনুভব করছি। ফাইনালে আমি বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচটা খেলবো। এভাবে শেষ করতে পারাটা আমার সেরা অর্জন’ – বলেছেন মেসি।