বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন
জায়েদ খান চার মাস ধরে মৌসুমীকে বিরক্ত করে আসছেন। এই ঘটনার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই ওমর সানীর অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করলেন মৌসুমী। শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় তাঁকে ছোট করা হয়েছে বলে ওমর সানীর ওপর বিরক্তি প্রকাশ করেছেন ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত খ্যাত’ এই নায়িকা।
মৌসুমী স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমি সরাসরি বলি জায়েদ আমাকে কোনোপ্রকারে বিরক্ত, কটূক্তি বা কোনো ধরনের খারাপ আচরণ করেনি। এখানে আমার প্রসঙ্গটা অপ্রাসঙ্গিক। আমি চাই না এখানে আমার কথা আসুক। ’
সোমবার সকালে এক অডিও বার্তায় মৌসুমী বলেন, ‘আমি মনে করি আমার প্রসঙ্গটা টানার প্রয়োজন ছিল না। আমি জায়েদকে অনেক স্নেহ করি, সে আমাকে যথেষ্ট সম্মান করে। আমাদের মধ্যে যতটুকু সম্পর্ক সেটুকু কাজের রিলেশন এবং খুবই ভালো রিলেশন। সেখানে আমাকে ওর অসম্মান করার প্রশ্নই ওঠে না। ’
তাঁকে ছোট করে ওমর সানী আনন্দ পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করে মৌসুমী বলেন, ‘আমাকে এই ছোট করার মধ্যে আমরা যাকে অনেক শ্রদ্ধা করে আসছি আমাদের ওমর সানী ভাই। তিনি এখন কেন এতো আনন্দ পাচ্ছেন সেটা আমি বুঝতে পারছি না। আমার সঙ্গে কোনো সমস্যা থাকলে সেটা আমার সঙ্গেই সল্ভ করবে। ’
গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি মৌসুমী বলেন, ‘আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা একটা কথা না পেলেই খুব সহজভাবে লিখে দেন। এটা আসলে কাম্য না। , একটু আলোচনা করা উচিত ছিল। যেহেতু আমার প্রসঙ্গে এসেছে। আমার সঙ্গে কথা বললেই হয়তো লিখতেনই না। তিনি একতরফা বলেছেন, কিন্তু আমি অভিযোগ বকরলাম কি না, সেটা জানা জরুরি। আমার নামটা যেন এখানে প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে না আসে। ’
প্রিদর্শিনী খ্যাত এই নায়িকা বলেন, ‘জায়েদের গুণ ছাড়া কোনো ধরনের অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে এই ধরনের কোন মন মানসিকতা জায়েদের মধ্যে আমি দেখিনি। তারপরে বলবো ও অনেক ভালো ছেলে। কেন বারবার আমাকে জায়েদ বিরক্ত করে, সে আমাকে উত্ত্যক্ত করছে কেন আসছে জানি না। এটা আসা ঠিক না। এটা আমাদের একদম পারিবারিক একটা সমস্যা। সে সমস্যা পারিবারিক সমস্যা। সে সমস্যা আমাদের পারিবারিকভাবে সলভ হওয়া দরকার। এখানে জায়েদের কোনো দোষ খুঁজে পাচ্ছি না। ’
ডিপজলের ছেলে সৌমিকের বিবাহোত্তর সংবর্ধনায় ওমর সানী জায়েদ খানকে চড় মেরেছেন। জায়েদও সানীকে বন্দুক দেখিয়েছেন- এমন একটি খবর প্রকাশ হয়। যার নেপথ্যে মৌসুমী রয়েছেন বলে বলা হয়। কিন্তু সে খবর ভিত্তিহীন দাবি করেন জায়েদ খান। এখন মৌসুমীও দাবি করলেন তাঁকে জায়েদ বিরক্ত করে না। তাহলে ওমর সানীর এই দাবির ভিত্তি কী, নেটিজেনরা সে প্রশ্নই রাখছেন।