রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অঙ্গীকার বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেন, আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গীকার হলো শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ করা। আমরা শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ করছি এবং আগামীতেও করে যাবো।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালের উপাচার্য ভবন লনে শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মন্ত্রী। পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সিজিপিএপ্রাপ্ত প্রায় ২০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতির প্রয়োজনে আমরা শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ করছি। প্রধানমন্ত্রী সব সময় বলেন, আমাদের সন্তানদের শিক্ষার জন্য বিনিয়োগকে ছোট করে দেখা যাবে না। আজকে আমাদের প্রফেসর ইমেরিটাস যারা এখানে এসেছেন তাদের কাছে অনুরোধ থাকবে, একজন শিক্ষাবিদ হিসেবে, শিক্ষা অঙ্গনের গুরু হিসেবে আমাদের পথ দেখাবেন। শিক্ষা অঙ্গনে আমাদের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় পরামর্শ দেবেন।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের গর্ব। পৃথিবীর কোনো বিশ্ববিদ্যালয় পাওয়া যাবে না যা একটি রাষ্ট্র পরিচালনার প্রতিটি অঙ্গনে অবদান রাখছে। সমাজের সবক্ষেত্রে যেভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অবদান রাখছে তা আর অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় রাখতে পারছে কি না আমার জানা নেই। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী শিক্ষার্থীরা এখানে এসেছেন। স্বায়ত্তশাসিত এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষাবিদদের কাছে অনুরোধ থাকবে, আমাদের রাজনৈতিক যে অঙ্গীকার, তা ফলপ্রসূ করতে আপনারা কাজ করছেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় তোমাকে কতটুকু পড়িয়েছে তা বিষয় নয়। একটি বিশ্ববিদ্যালয় তোমার হৃদয়ে কতটুকু ক্ষত সৃষ্টি করতে পেরেছে তা বড় বিষয়। ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তাদের কয়েকজনকে এখানে বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তাদের কথা শুনে আমার মনে হয়েছে আমাকে ছাত্রবেলায় এখানে দাড় করিয়ে দিলে এত সুন্দর করে বলতে পারতাম না। তাদের এমন সুন্দর উপস্থাপন প্রমাণ করে বিশ্ববিদ্যালয় শুধুমাত্র একজন শিক্ষার্থীকে বইয়ের জ্ঞান দান করে না, পাশাপাশি একটি সমাজ বিনির্মাণের জন্যও তৈরি করে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।
এছাড়া ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ এফ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ইমেরিটাস অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির এবং সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল রউফ মামুন বক্তব্য রাখেন।