শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫৩ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ আসিফ খোন্দকার, আইনবিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট ইলিয়াস , যোগাযোগ : ০১৬১৬৫৮৮০৮০,০১৮১১৫৮৮০৮০, ঢাকা অফিস: ৪৩, শহীদ নজরুল ইসলাম রোড, চৌধুরী মল (৫ম তলা), টিকাটুলি ১২০৩ ঢাকা, ঢাকা বিভাগ, বাংলাদেশ মেইল: bdprotidinkhabor@gmail.com চট্টগ্রাম অফিস: পিআইবি৭১ টাওয়ার , বড়পুল , চট্টগ্রাম।
সংবাদ শিরোনাম:
ড্রীম ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির পক্ষ থেকে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ সিলেট-ম্যানচেস্টার রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ হওয়ার শস্কায় উদ্বিগ্ন প্রবাসীরা ‘সৈকত-প্রবাল’ আন্তঃনগর ট্রেন চলবে চট্টগ্রাম লোহাগাড়া – কক্সবাজার রুটে বায়েজিদ বোস্তামী থানার পুলিশের অভিযানে   অস্ত্রধারী দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ ০৩ জন গ্রেফতার লোহাগাড়ায় দূর্গম এলাকায় এক টাকায় আনন্দ ফাউন্ডেশনের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্ণফুলী থানার পুলিশ কর্তৃক অভিযান কক্সবাজারে নিখোঁজ হওয়ার ৮ ঘন্টা পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার: নওগাঁয় লাভের আশায় ফুলকপি চাষ করে বিপাকে কৃষক, এক হালী কপি ২ টাকায় বিক্রি মহেশখালীতে-ঘরে ঢুকে হাত-পা বেঁধে গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, লুট সঞ্চয়ের টাকাও চট্টগ্রাম আদালতের খোয়া নথি বিক্রি করলেন চা দোকানি, উদ্ধার করল পুলিশ

বন্যার সময় সহজ যোগাযোগের জন্য পদ্মা সেতু আশীর্বাদ হবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেছেন যে, পদ্মা সেতুটি বন্যার এই প্রেক্ষাপটে সহজ যোগাযোগে জাতির জন্য একটি আশীর্বাদ হবে, কারণ সরকার এটি ২৫ জুন উদ্বোধন করতে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘২৫ তারিখে পদ্মা সেতু আমরা উদ্বোধন করবো ইনশাল্লাহ এবং এই উদ্বোধনের পরে এটাও আল্লাহর একটা আশির্বাদ হবে। কেননা, দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগটা আমরা অব্যাহত রাখতে পারবো।’

প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে তাঁর কার্যালয়ের (পিএমও) শাপলা হলে আন্তর্জাতিক ক্রীড়াক্ষেত্রে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনা ক্রীড়াবিদদের মাঝে সম্মাননার চেক বিতরণ কালে দেওয়া ভাষণে একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৫ জুন বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মাসেতু উদ্বোধনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আমি মনে করি, পদ্মাসেতু এমন একটা সময় উদ্বোধন করতে যাচ্ছি সে সময় বন্যা শুরু হয়ে গেছে এবং এই বন্যা কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলেও যাবে।

শেখ হাসিনা বলেন, সে সময় পণ্য পরিবহন, বন্যা মোকাবিলা, বন্যার সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং তাঁদেরকে সহযোগিতা করার একটা বিরাট সুযোগ আমাদের আসবে। বন্যার্তদের রিলিফ দেওয়া থেকে ওষুধ সরবরাহ এবং খাদ্য সরবরাহের বিষয়টি আরো সহজতর হবে।

’৮৮ সালের বন্যায় গোপালগঞ্জে আটকা পড়ার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, তখন এরকম পদ্মা সেতু থাকলে সহজেই চলে আসা সম্ভব হতো।

তিনি ’৯৮ সালে বাংলাদেশের সব থেকে ভয়াবহ এবং দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ঠিক সেই বন্যার আগেই আমরা যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু উদ্বোধন করেছিলাম। আর সেটা করেছিলাম বলেই উত্তরবঙ্গ থেকে পণ্য পরিবহনসহ সকল কাজের সুবিধা হয়।

সরকার প্রধান বলেন, বন্যায় নদীগুলো আরো ভয়ংকর হয়ে উঠলে প্লাবিত দক্ষিণাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাঁর সরকার উত্তরাঞ্চল থেকে সুবিধাটা পায়। যার ফলে বন্যা সফল ভাবে মোকাবিলা সম্ভব হয়।সেই সময় বিবিসি, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রচার ছিল- সে বন্যায় প্রায় দু’কোটি লোক না খেতে পেয়ে মারা যাবে। কিন্তু, তাঁর সরকার বলেছিল, ‘একজন মানুষকেও তাঁর সরকার না খেয়ে মরতে দেবে না’ এবং সেটা সম্ভব হয়েছিল। আর এই কাজে সেই সেতুটা তখন বিরাট কাজে এসেছিল, বলেন তিনি।

খেলাধূলাকে এগিয়ে নেয়ার মাধ্যমে দেশে বিশ^মানের ক্রীড়াবিদ তৈরীতে তাঁর সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন্যাও আমরা মোকাবিলা করবো এবং খেলাধূলাও আমাদের চলবে, সবই আমাদের চলবে। এটাই আমাদের জীবন এটাকেই মেনে নিতে হবে । এটাই বাস্তব এবং বাস্তবতার সঙ্গে তাল মিলিয়েই আমাদের চলতে হবে এবং বিশ^ সভায় আমরা মাথা উঁচু করেই চলবো-উল্লেখ করেন তিনি।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাফ-২০২১ চ্যাম্পিয়ন মহিলা অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় ফুটবল দলের ৩৩ জন সদস্যসহ মোট ৮৮ জন ক্রীড়াবিদকে আর্থিক সম্মাননা প্রদান করা হয়।

অপর ৫৫ জন খেলোয়াড়ের মধ্যে মুজিববর্ষ ফিফা আন্তর্জাতিক ফুটবল সিরিজ ২০২০-এর ৩৩ জন এবং বঙ্গবন্ধু ৪-জাতি ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২২-এর বিজয়ী ২২ জন খেলোয়াড় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

অনুষ্ঠানে সাফ-২০২১ চ্যাম্পিয়ন মহিলা অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাপ্টেন মারিয়া মান্দা, খেলোয়াড় মনিকা চাকমা এবং প্রধান প্রশিক্ষক গোলাম রব্বানী ছোটন, বাংলাদেশ শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন ফয়সাল খান এবং বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাপ্টেন জামাল ভূঁইয়ার হাতে আর্থিক সম্মানীর চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি (বাফুফে) কাজী মো. সালাহউদ্দিন, মহিলা অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক মারিয়া মান্দা এবং বাংলাদেশ শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ফয়সাল খান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। স্বাগত বক্তৃতা করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম।

সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির প্রতিনিয়ত খবর রাখছেন এবং এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাঁর সরকারের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, একদিকে যেমন করোনার প্রাদুর্ভাব ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে অপরদিকে সিলেট এবং সুনামগঞ্জে ব্যাপক বন্যা হয়েছে। এবারের বন্যাটা একটু বেশিই ব্যাপক হারে এসেছে।

বন্যায় ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ চলমান রয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রশাসন সেনাবাহিনী নৌ বাহিনী বিমান বাহিনী থেকে শুরু করে সকল প্রতিষ্ঠান বন্যার্ত মানুষকে উদ্ধার করা, তাদের ত্রাণ দেওয়া থেকে শুরু করে সব সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত করা হয়েছে। সেইসাথে আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ যুবলীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ প্রতিটি সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও বিভিন্ন এলাকায় সহযোগিতা করছেন। খাবার বিতরণ থেকে শুরু করে উদ্ধার কাজে অংশ নিচ্ছেন।

তিনি বলেন, এর পাশাপাশি স্যালাইনের ব্যবস্থা, সুপেয় পানির ব্যবস্থাসহ অন্যান্য যা যা দরকার হতে পারে তার জন্য প্রস্তুতিও সরকার নিয়েছে।

 

সূত্র : বাসস

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Design & Development BY ThemeNeed.Com