সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এবার এসএসসিতে পাসের হারের সঙ্গে বেড়েছে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা। আজ (৩০ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার ঘোষিত এসএসসির ফলাফলে এই শিক্ষা বোর্ডে এবার পাশ করেছে ৯১ দশমিক ১২ শতাংশ শিক্ষার্থী। যা গত বছরের চেয়ে ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেশি। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ হাজার ৭৯১ জন। গত বছরের চেয়ে ৩ হাজার ৭৮৩ জন বেশি।
আজ (৩০ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বছর অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ জানান, এ বছরের এসএসসি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ১ লাখ ৬১ হাজার ১২২ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে। এর মধ্যে ৯১ দশমিক ১২ শতাংশ শিক্ষার্থী উর্ত্তীর্ণ হয়েছে। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ১২ হাজার ৭৯১ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।’
ঘোষিত ফলাফলের বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরে শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরো জানান, পাসের হার এবং জিপিএ-৫ অর্জনসহ ফলাফলের প্রতিটি ধাপে উন্নতি করেছে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড।
উত্তীর্ণদের মধ্যে ছাত্রদের পাসের হার ৯০ দশমিক ১৪ শতাংশ যা গত বছরের তুলনায় ৫ দশমিক ২১ শতাংশ বেড়েছে। ছাত্রী পাসের হার ৯১ দশমিক ৯৯ শতাংশ। বিগত বছরের তুলনায় ছাত্রীদের পাসের হার ৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেশি।
এ বছর ছাত্রদের মধ্যে ৫ হাজার ৩৮২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। ছাত্রীদের মধ্যে ৭ হাজার ৪০৯ জন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছন জিপিএ-৫ বেড়েছে ২ হাজার ৬৪৬টি।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে এ বছর বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৯৬ দশমিক ৮২ শতাংশ, মানবিকে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং ব্যবসায় শিক্ষায় পাসের হার ৯২ শতাংশ। বিজ্ঞানে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ হাজার ২৯১ জন, মানবিকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫৬ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৩৪৪ জন শিক্ষার্থী।
চট্টগ্রাম মহানগরে এসএসসিতে পাসের হার ৯৫ দশমিক ২৭ শতাংশ যা গত বছরের তুলনায় ৪.৯৩ শতাংশ বেশি। এছাড়াও চট্টগ্রাম জেলায় পাশের ৯১ দশমিক ০১ শতাংশ। মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলায় এসএসসিতে পাসের হার ৯২.১৯ শতাংশ।
চট্টগ্রাম বিভাগের অন্য জেলাগুলোর মধ্যে কক্সবাজারে পাসের হার ৯০ দশমিক ৯৪ শতাংশ, রাঙামাটিতে পাসের হার ৮৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ, খাগড়াছড়িতে পাসের হার ৮৪ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং বান্দরবানে পাসের হার ৯০ দশমিক ৮৫ শতাংশ। সব সূচকেই এ বছর পরীক্ষার্থীরা বিগত বছরের তুলনায় ভালো ফল করেছে।