সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে উপজেলা ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও লাঠি চার্জের ঘটনা ঘটেছে। সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক নাজিম উদ্দিন রনি, সদস্য সচিব নুর মোহাম্মদ সাদ্দামসহ দেড় শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সোনাইমুড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বাধন চন্দ্র দাস বাদী হয়ে মামলাটি করেন।মঙ্গলবার বিকেলের এ ঘটনায় এখন পযর্ন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ৪ জনকে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো দেওটি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য ও শুরহলী গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে তানভীর হোসেন সিফাত (১৮), অম্বরনগর ইউপি’র উত্তর অম্বর নগর গ্রামের ছায়েদুল হকের ছেলে আবুল হোসেন (২৩), ও একই গ্রামের হানিফ ইন্জিনিয়ারের নতুন বাড়ির মৃত বেলাল হোসেনের ছেলে নাজমুল হাসান রাফি (২০), সোনাইমুড়ী পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক সম্রাট রুবেল (২৮) সহ ৫জন। গ্রেফতারকৃতদের বুধবার এবং শুক্রবারে দুপুরে নোয়াখালী বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
উপজেলা ছাত্রদলের সূত্রে জানাযায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশ ব্যাপী ছাত্রলীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে মঙ্গলবার বিকেলে সোনাইমুড়ী কলেজ মাঠ হতে একটি শান্তিপূর্ন প্রতিবাদ মিছিল বের করে ছাত্রদল। মিছিলটি সোনাইমুড়ী বড় মসজিদের সামনে আসলে পুলিশ সম্পুর্ন বিনা উস্কানিতে নিরপোরাধ ছাত্রদের উপর বেদড়ক লাঠি চার্জ করে। এ সময় পুলিশ জোর পুর্বক ব্যানার ছিনিয়ে নেয়। এতে ছাত্রদলের ১০/১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়। এ সময় ছাত্রদলের ৩ জনকে ও পরে আরও ২ জনকে আটক করে পুলিশ। পরদিন গত বুধবার সকালে উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা এক দেড়শ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের উপর হামলা,হত্যাচেষ্টা ভাংচুরের একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে আটককৃতদের গ্রেফতার দেখিয়ে বিজ্ঞ বিচারিক আদালতে সোপর্দ করে।
বিএনপি”র যগ্ম মহাসচিব, সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দিদার হোসেন, সোনাইমুড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ারুল হক কামাল, সাধারণ সম্পাদক কুতুবউদ্দিন সানী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হান্নান (জি এস ফারুক), সোনাইমুড়ী পৌর বিএনপির সভাপতি মোহাহের হোসেন মানিক, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রেজায়ে রাব্বি মাহবুব ও উপজেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক মাসুদের রহমান যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ছাত্রদলের শান্তিপূর্ন মিছিলে পুলিশের বাধা, লাঠিচার্জ প্রমাণ করে দেশে মানুষের বাক-স্বাধীনতা নেই, অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে মামলা হামলার শিকার হতে হয়। বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখন হিমাগারে। এ সব মিথ্যা মামলা হামলা করে ছাত্রদলকে দমিয়ে রাখা যাবেনা। নেতৃবৃন্দ গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুন অর রশিদ জানান, ছাত্রদল কর্মীরা মিছিলের নামে রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে ভাংচুর চালায়, পুলিশ এতে বাধা দিলে ছাত্রদলের উশৃংখল কর্মীরা পুলিশের উপর হামলা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে ২জন অফিসার এবং ৩জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আসামীদের বিজ্ঞ বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।