শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:১৮ পূর্বাহ্ন
খুলনা জেলার ডুমুরিয়ায় উপজেলার সপ্তম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে দফায় দফায় ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত ২ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। উপজেলার শোভনা ইউনিয়নের চিংড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী ও তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, চিংড়া গ্রামস্থ হতদরিদ্র এক পিতার ১৬ বছর বয়সী মেয়ে গত রমজান মাসে মাদ্রাসা ছুটি থাকা সুবাদে প্রতিবেশী সিরাজুল গাজীর বাড়িতে গৃহস্থলী কাজে যায়। এমতাবস্থায় ২২ রমজান উপজেলার বাগদাড়ি এলাকার গরু ব্যবসায়ী মহিদুল মোড়ল ও কারিমুল শেখ ওই বাড়িতে বেড়াতে যায় এবং কাজের মেয়ে মাদ্রাসা ছাত্রীকে দেখা মাত্রই তার প্রতি কুদৃষ্টি পড়ে।
এরপর গেল ঈদুল ফিতরের দিন সিরাজুলের স্ত্রী ইরানি বেগম অসৎ উদ্দেশ্যে বেড়ানোর কথা বলে ওই মেয়েকে নিয়ে বাগদাড়ি এলাকায় যায়। রাতে কারিমুল শেখের একটি নির্জন ঘরে প্রথমে ওই মেয়েকে, পরে গরু ব্যবসায়ী মহিদুল মোড়লকে ঢুকিয়ে দিয়ে বাইরে থেকে ছিটকিনি দিয়ে দেয়। রাত তিনটার দিকে বাড়ির মালিক কারিমুল ওই ঘরে প্রবেশ করলে মহিদুল বেরিয়ে আসে এবং পর্যায়ক্রমে তারা ধর্ষণ করে।
এরপর ২১ মে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে আবারও মহিদুল মোড়ল তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটরসাইকেল যোগে তুলে নিয়ে যায়। সন্ধ্যার পর স্থানীয় জনৈক রাশেদুলের ঘেরের বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে। একই রাত দুইটার দিকে ধর্ষণে সহযোগী ইরানি বেগমের স্বামী সিরাজুল গাজী ও ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক মনি গাজী ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই মেয়েকে উদ্ধার করে বাড়ি আনার পথে সাহস ইটভাটার নিকটে পৌঁছে ওই দুইজন তাকে আবারও ধর্ষণ করে।
এরপর ভোর রাতে তাকে বাড়ি ফিরিয়ে দেয়। বিষয়টি জানাজানির পর ওই ছাত্রী বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে ঘটনার সাথে জড়িত ৫ জনকে বিবাদী করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। ঘটনা প্রসঙ্গে ওসি সেখ কনি মিয়া বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত ২ জনকে আটক করা হয়েছে, মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।