শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪২ অপরাহ্ন
অনেক জল্পনা-কল্পনার পর নরসিংদীর শিবপুর পৌরসভা, মাছিমপুর ও চক্রধা ২টি ইউনিয়ন পরিষদের সিমানা জটিলতা মামলা নিষ্পত্তি । নির্বাচন তফসিল ঘোষনা না হলেও মাঠে নির্বাচনী ।
১টি পৌরসভা,২টি ইউপি নির্বাচন সম্ভ্যাব্য মেয়র, চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ সহ পোষ্টার বিলর্বোড,ব্যানার এর মাধ্যম প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছেন।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠার ১৬ বছরেও পৌরসভা নির্বাচন দেখেনি নরসিংদীর শিবপুর পৌরবাসী। সীমানা জটিলতা মামলার কারণে পৌর মেয়র ও কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করা যাচ্ছে না এবং নির্বাচন না থাকায় ঐ এলাকার জনগণ র্দীঘদিন যাবৎ ভোট দেওয়া থেকে বি ত হচ্ছে। পৌর প্রশাসক দিয়ে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে ও পৌর এলাকার কাঙ্খিত উন্নয়ন না হওয়ায় পৌরবাসীর মধ্যে হতাশা দেখা দিচ্ছে। নরসিংদীর শিবপুর পৌরসভার মোট আয়তন ৯.৮ বর্গ কিঃ মিঃ। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী এখানে মোট জনসংখ্যা ২০ হাজার ২৭২ জন। বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন ২০০৬ সালে শিবপুর পৌরসভাটি গঠিত হয়। গঠিত পৌরসভার প্রথম পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেন বর্তমান নরসিংদী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার। কয়েক মাস পরেই তাকে এ পদ থেকে সরিয়ে শিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সে থেকে এখনও পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাই পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করছেন।
পৌরসভার সীমানা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ২০১৪ সালে মাছিমপুর ইউনিয়নের মহিলা সদস্য ফাতেমা আক্তার স্মৃতি ও চক্রধা ইউনিয়নের মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে পৃথকভাবে হাইকোর্টে দুটি মামলা দায়ের করেন। পৌরসভা থেকে মাছিমপুর ইউনিয়নের বাজনাব, বান্দারদিয়া এবং চক্রধা ইউনিয়নের আশ্রাফপুর গ্রামকে বাদ দেওয়ার জন্য ওই মামলায় দাবি করা হয়। সেই থেকে শিবপুর পৌরসভা ও পাশের ওই দুটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অদ্যাবধি পর্যন্ত স্থগিত রয়েছে।
শিবপুরে পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন দাবি করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ সভা সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচিত পৌর মেয়র ও ইউপি চেয়ারম্যান না থাকায় জনগণ তাদের নাগরিক সুবিধা ও কাঙ্খিত উন্নয়ন থেকে বি ত হচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মামলার নিষ্পত্তি যাতে না হয় সেজন্য একটি কুচক্রী মহল মামলার বাদীদের আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে দীর্ঘসূত্রিতা বাড়াতে সহায়তা করে যাচ্ছেন। নির্বাচনের সম্ভাবনা না দেখে দুটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার এবং পৌরসভার কাউন্সিলরগণ জনগণকে তাদের প্রত্যাশিত সেবা না দিয়ে মনগড়া মতো দায়িত্ব পালন করছেন। কারণ তারা জানেন মামলার নিষ্পত্তি না হলে নির্বাচনও হবে না। আর নির্বাচন না হলে তাদেরকে সরানোও যাবে না। ফলে অনেকটা স্বৈরতান্ত্রিকভাবেই তারা পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিচালনা করার অভিযোগ রয়েছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে বর্তমান সরকারের মাধ্যমে শিবপুর পৌরসভা, মাছিমপুর ও চক্রধা ইউনিয়ন পরিষদের দ্রæত নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
নরসিংদী-৩ (শিবপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জহিরুল হক ভূইয়া মোহন জানান, মামলা দ্রæত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রæতই পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করছি।
নরসিংদীর শিবপুরা উপজেলা নির্বাচন অফিসার ফারজানা আবেদীন জানান, ১টি পৌরসভা ও ২টি ইউনিয়নের সিমানা জটিলতা মামলা খারিজ করেছে হাইকোট, এখনো ভোটার তালিকা ও সিমানা নির্ধারন করা সম্পুন্ন হয়নি। নির্বাচন কমিশন এর পক্ষ থেকে নির্বাচন তফসিল ঘোষনা করেনি।