বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:১৪ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। কৃষি হচ্ছে এ দেশের জাতীয় আয়ের অন্যতম উৎস এবং প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষের জীবিকার অবলম্বন। তাই এ দেশে ভূমি সম্পদের গুরুত্ব অপরিসীম। মৌলিক প্রাকৃতিক সম্পদ সমূহের মধ্যে ভূমি হচ্ছে অন্যতম প্রাকৃতিক সম্পদ যা মানুষের আবাসন, নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য, শিল্পে কাচাঁমাল ইত্যাদি সরবরাহের মূল উৎস, কিন্তু জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং ভূমির অপরিকল্পিত ব্যবহারের কারণে আমাদের এ গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।
ঠিক তেমনই তারই ধারাবাহিকতায় রাংগামাটি জেলার লংগদু উপজেলায় প্রতি নিয়ত চাষাবাদ করছে স্থানীয়রা কলা,পেঁপে, কাঁঠাল, আম,জাম, সহ বিভিন্ন ফলজ বনজ এবং অনেক ধরনের ঔষধী গাছ।
বিশেষ করে চৈত্র বৈশাখে শুরু হয় বোরো ধানের আবাদ লংগদু উপজেলায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের লোকজন কৃষি বিষয়ে তেমন অভিজ্ঞতা নেই বল্লেই চলে, তবুও জীবিকা নির্বাহের উদ্দেশ্যে করতে হয় চাষাবাদ,অনেকের ধারনা সরকার কতৃক কৃষি কর্মকর্তাগন করবেন সকল ধরনের সহোযোগিতা।
অপরদিকে কৃষি প্রধান দেশ হওয়ায় এবং কিছুদিনের মধ্যে বোরো ধান কৃষকের ঘরে উঠবে বলে কৃষি দপ্তর খুলে রাখার প্রজ্ঞাপনে নির্দেশ দেন সরকার। সরেজমিনে উপজেলার ২৫ নং মৌজার সোনাই ৪নং ওয়ার্ডের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তার অফিস এবং বাসভবন থাকলেও দেখে মেলেনি কর্মকর্তার।
এলাকাবাসীর আর্তনাদ ২০০৮/২০১০ সালের দিকে এক শাহজাহান নামের কর্মকর্তা ছিলো বাসভবনেই ছিলো তার বসবাস এবং সার্বক্ষণিক পাওয়া যেতো অফিস কক্ষে পরামর্শ নিতে আসলে চলে যেতো জমিতে দিয়ে থাকতো সঠিক পরামর্শ।
এ বিষয়ে স্হানীয় কৃষক গন আরো বলেন পূর্বে আমরা সরকার কতৃক সহোযোগিতা পেতাম এখন ১০ বছর ধরে কর্মকর্তারই দেখা নেই সহোযোগিতা তো অকল্পনীয়।
এই বিষয়ে ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল মতিন বলেন এটা ঠিক নয় সরকার কর্তৃক কোনো সহোযোগীতা এলাকা বাসী পাচ্ছেনা আমি ইউপি চেয়ারম্যান এবং উপজেলা চেয়ারম্যান এর সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো।
এই বিষয়ে দায়িত্বরত বর্তমান কর্মকর্তার সাথে দেখা করতে গেলে দেখা মেলেনি উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তার।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে উপসহকারী কর্মকর্তা বলেন চাল দিয়ে পানি পাড়ার করনে সে থাকে না,আসলে সরজমিনে তেমন কোনো নিদর্শন নি মিললো না। আরো জানাযায় শুধু সরকারি বেতন ই নয় বাসভবন এলাকার ফল বিক্রির টাকাও নিয়ে নেন তিনি।
লংগদু উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার জাহিদুর রহমান এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে প্রথমে বেশ কিছু কল রিসিভ করলেন না অতপর কিছু দিন পর যোগাযোগ হলেও তার ব্যাখ্যাও আসে অন্য রকম।
এলাকাবাসীর প্রানের আকুতি এখন কর্মকর্তা প্রয়োজন অনেক এ বিষয়ে তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যান এর সহোযোগিতা কামনা করেন।