শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৪ পূর্বাহ্ন
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় গাছে গাছে উঁকি দিচ্ছে আমের গুটি। চলতি মৌসুমে অনুকুল আবহাওয়ায় গুটি নষ্ট হবার সম্ভাবনা কম। তাই এবারও আমের বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন আম চাষিরা। গত বছরের সারাদেশ করোনা মহামারী থাকায় ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে এবার বিদেশে রপ্তানিও করা যাবে বলে তারা মনে করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আম গাছগুলোতে ছোট বড় আকারে গুটিতে ভরে গেছে। অনেক বাগানে এখন পরিপূর্ণ আমে ধরণ আসতে শুরু করেছে। সময়ের ব্যবধানে ধীরে ধীরে আম বড় হচ্ছে। এ বছর গাছে গুটির পরিমান বেশি। তাই বাতাসে দুলছে আমচাষীদের ভাগ্য। আমচাষী ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্মকর্তারা এবারও কলারোয়া উপজেলায় আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন। তাদের বক্তব্য-প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে ও সময় মতো পরিচর্যা হলে চলতি মৌসুমে আমের ফলন গত সকল মৌসুমকে টপকে যাবে। তাই আশায় বুক বেঁধে আম চাষিরা আগাম শুরু করেছেন পরিচর্যা। তাদের একমাত্র ভরসা চলতি মৌসুমে তারা আম থেকে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে। মৌসুমি আম চাষী ও ব্যবসায়ীরা জানান- প্রকৃতি এরকম থাকলে ফলন লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে। উপজেলায় বিভিন্ন জাতের আম চাষ হয়ে থাকে। এরমধ্যে হিমসাগর, ন্যাংড়া, গোবিন্দভোগ, মল্লিকা, আ¤্রপালি, বোম্বাই, লতা, দেশীয় লতা ইত্যাদি।
তারা আরো জানান-কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পরামর্শে গাছে মুকুল আসার ১৫ থেকে ২০ দিন আগেই তারা পুরো গাছ সাইপারম্যাক্রিন ও কার্বারিল গ্রুপের কীটনাশক দিয়ে ভালোভাবে স্প্রে করে গাছ ধুয়ে দিয়েছেন। এতে গাছে থেকে শোষক জাতীয় পোকা নিধন হয়েছে।
উপজেলার চন্দনপুর গ্রামের এক আম চাষী ওমর ফারুক জানান, এ বছরের আবহাওয়া আমের জন্য কিছুটা অনুকুলে রয়েছে। তবে বৃষ্টি হলে ভাল হয়। এর মধ্যে অনেক গাছে গুটি ছাড়িয়ে আমে পরিণত হয়েছে।
উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম জানান-ধান, পাট বা অন্য ফসলের মত আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও কৃষি অধিদফতরের কাছেই থাকে। কারণ কলারোয়া উপজেলার আম দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশের বাজারে যায়। এ বছর উপজেলায় আমচাষ হয়েছে ৫৭০ হেক্টর। প্রতি হেক্টর জমিতে ৩৫ থেকে ৪০ মণ আমের উৎপাদন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।