বাংলাদেশ প্রতিদিন খবর
- বুধবার ১৩ এপ্রিল, ২০২২ / ২২৫ জন দেখেছে
সুস্বাস্থ্য থাকতে কার্বোহাইড্রেট-প্রোটিন-ফ্যাটের পাশাপাশি ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের প্রয়োজনীয়তা আছে। তবে জীবনযাত্রার অনিয়ম কিংবা অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাসের কারণে প্রত্যেকের শরীরেই কিছু না কিছু ভিটামিনের ঘাটতি পড়ে যায়।
ভিটামিন ডি, সি ও এ-র গুরুত্ব সম্পর্কে জানলেও, ভিটামিন ‘কে’-র বিষয়ে আমাদের ততটা জানা নেই। তাই শরীরে এর ঘাটতি হলেও সচেতনতার অভাবে অনেক সময় তা বুঝতে পারি না।
শরীরে ভিটামিন ‘কে’-এর ঘাটতি হয়েছে বুঝবেন যেভাবে—
- শরীরের কোথাও কেটে গেলে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে ভিটামিন কে। কারোর যদি রক্তপাত বন্ধ হতে দীর্ঘক্ষণ সময় লাগে, তাহলে বুঝতে হবে তার ভিটামিন কে-র ঘাটতি। এই ভিটামিনের অভাবে মলের সঙ্গে রক্তপাতও হতে পারে।
- হাড় ভঙ্গুর হয়ে গেলে আমরা মনে করি শরীরে ক্যালশিয়ামের অভাব হয়েছে। কিন্তু এটি ভিটামিন কে-র অভাবেও হতে পারে। ভিটামিন কে হাড় শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। রক্তে ভিটামিন কে-র ঘাটতি হলে গাঁটের ব্যথা ও অস্টিওপোরসিসের ঝুঁকিও বাড়ে।
- ঋতুস্রাবের সময়ে অল্প স্বল্প পেটে ব্যথা হতেই পারে। কিন্তু যদি অত্যধিক ব্যথা হয়, তাহলে বুঝতে হবে শরীরে ভিটামিন কে-র ঘাটতি হতে পারে।
- ভিটামিন কে-এর অভাবেও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। ভিটামিন কে মিনারেলাইজেশন প্রতিরোধ করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এই ভিটমিনের ঘাটতি হলে ধমনীতে খনিজ পদার্থ জমা হয়। ফলে হৃদযন্ত্রের ক্ষতি হয়।
যা খেলে শরীরে ভিটামিন কে-এর ঘাটতি মিটবে—
খাদ্যতালিকায় বেশি বেশি শাকসবজি রাখতে হবে। পালং শাক, ব্রকোলি, বাঁধাকপি, বরবটি নিয়মিত খেতে হবে। দুগ্ধজাত খাবার ও ডিম খেলে এই ভিটামিনের ঘাটতি কমবে। ফলের মধ্যে অ্যাভোক্যাডো, কিউয়ি, আঙুর, আলুবোখরা খেতে পারেন। মুরগির মাংস এবং সোয়াবিনেও প্রচুর ভিটামিন কে রয়েছে।