শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন
বিনোদন ডেস্কঃ
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির সাত বছর পেরিয়েছে গত ৫ ফেব্রুয়ারি। ২০১৬ সালের ওই দিনে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত রিজার্ভ চুরির ঘটনা ঘটে। অথচ এ দীর্ঘ সময়েও চুরি হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি। এবার বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনার ওপর হলিউডে ‘বিলিয়ন ডলার হাইস্ট’ নামের একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মিত হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৮ কোটি ১০ লাখ বা ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরির ঘটনা নিয়ে হলিউডের পরিচালক ড্যানিয়েল গর্ডন ‘বিলিয়ন ডলার হাইস্ট’ নামের এ তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন। এরই মধ্যে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ও ইউটিউবসহ সামাজিক বিভিন্ন মাধ্যমে তথ্যচিত্রটি পাওয়া যাচ্ছে।
তথ্যচিত্রটি গত ১৫ আগস্ট অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও, অ্যাপল টিভি এবং অন্য ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোতে মুক্তি পেয়েছে। ইউনিভার্সাল পিকচার্স হোম এন্টারটেইনমেন্টের ওয়েবসাইট অনুসারে, তথ্যচিত্রটি পরিচালনা করেছেন ড্যানিয়েল গর্ডন, ব্রেন্ডন ডোনোভান ও ব্রাইন ইভানস।
সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত ওই তথ্যচিত্রটিতে দেখানো হয়েছে, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুইফট (সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফিনান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশন) পেমেন্ট সিস্টেমে ভুয়া অর্ডার ব্যবহার করে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ থেকে কীভাবে ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরি করেছিল হ্যাকাররা।
হ্যাকাররা কীভাবে সুইফট পেমেন্ট ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছিল সেটিও উঠে এসেছে ‘বিলিয়ন ডলার হাইস্ট’ তথ্যচিত্রে। নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ১০১ মিলিয়ন ডলার চুরির ঘটনা ঘটে।
একই সঙ্গে সেখানে দেখানো হয়, হ্যাকারদের সামান্য ভুল টাইপের কারণে আরও বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।যেখান থেকে অন্তত ৮১ মিলিয়ন ডলার ম্যানিলাভিত্তিক আরসিবিসির অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়েছিল। পরে সেই অর্থ ব্যয় করা হয়েছিল ফিলিপাইনের ক্যাসিনোগুলোতে।