শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:
চেয়ারম্যান: মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ আসিফ খোন্দকার, আইনবিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট ইলিয়াস , যোগাযোগ : ০১৬১৬৫৮৮০৮০,০১৮১১৫৮৮০৮০, ঢাকা অফিস: ৪৩, শহীদ নজরুল ইসলাম রোড, চৌধুরী মল (৫ম তলা), টিকাটুলি ১২০৩ ঢাকা, ঢাকা বিভাগ, বাংলাদেশ মেইল: bdprotidinkhabor@gmail.com চট্টগ্রাম অফিস: পিআইবি৭১ টাওয়ার , বড়পুল , চট্টগ্রাম।
সংবাদ শিরোনাম:
চান্দগাঁও থানার অভিযানে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ড্রাইভারকে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ড নওগাঁয় বিশাল কর্মযজ্ঞে মধ্যেদিয়ে স্বর্ণের মত দেখতে পিতলের গহনা হাতের চুড়ি বলা তৈরী হচ্ছে মহাসড়কের স্বয়ংক্রিয় আন্ত:জেলা ডাকাত চক্রের ৮ সদস্য গ্রেফতার-পিস্তল গুলি সহ লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার গোসাইরহাট প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি কাউছার সভাপতি, সম্পাদক শামীম রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে প্রবাসী সবুজ হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ রূপগঞ্জে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অতিরিক্ত ও সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ৪৭ কর্মকর্তা বদলি ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান এনজিও কার্যক্রম বিষয়ক চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয় কমিটিতে আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের জলসীমা থেকে দুটি বিদেশি ফিশিং ট্রলার আটক করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী

‘কোন আইনে বলা আছে, টিপ পরা যাবে না’

কপালে টিপ পরায় এক শিক্ষিকাকে বাজে গালি দেওয়ার পর তার গায়ে মোটরসাইকেলের চাকা তুলে হেনস্তার অভিযোগ ওঠা পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সরকারি দলের সংরক্ষিত আসনের সাংসদ সুবর্ণা মুস্তাফা।

রোববার (৩ এপ্রিল) সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় সরকারি দলের সংরক্ষিত আসনের সুবর্ণা মুস্তাফা এ দাবি জানিয়ে বলেন, কোন আইনে বলা আছে, টিপ পরা যাবে না। শিক্ষিকাকে অসম্মান করা হয়েছে।

শনিবার ২ এপ্রিল রাজধানীর গ্রিন রোডের বাসা থেকে কলেজে যাওয়ার পথে উত্ত্যক্তের শিকার হন তেজগাঁও কলেজের প্রভাষক। তিনি অভিযোগ করেন, ‘হেঁটে কলেজের দিকে যাওয়ার সময় হুট করে পাশ থেকে মধ্যবয়সী, লম্বা দাড়িওয়ালা একজন- ‘টিপ পরছোস কেন’ বলেই বাজে গালি দেন তাকে। ওই মধ্যবয়সী ব্যক্তির গায়ে পুলিশের পোশাক। ঘটনার প্রতিবাদ জানালে এক পর্যায়ে তার পায়ের ওপর দিয়েই বাইক চালিয়ে চলে যান সেই ব্যক্তি।’

পরবর্তী সময়ে এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর প্রতিবাদ জানিয়ে বিচার দাবি করছেন অনেকেই।

সংসদে সুবর্ণা মুস্তাফা বলেন, ‘দল-মত নির্বিশেষে বিশেষ করে নারী সমাজের জন্য অত্যন্ত ঘৃণিত একটি ঘটনা। ইভটিজিং আমরা শুনে এসেছি। বখাটে ছেলেরা স্কুলের বাচ্চাবাচ্চা মেয়েদের ইভটিজ করে। সেই পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু আমি যখন দেশের আইনরক্ষাকারী কাউকে ইভটিজিংয়ের ভূমিকায় দেখি, তখন সেটা আমাদের সবার জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক।’

তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে একজন নারী টিপ পরতে পারবে না। এখানে হিন্দু-মুসলমান, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এমনকি সে বিবাহিত না বিধবা সেটা বিষয় নয়…একটি মেয়ে টিপ পরেছে। তিনি একজন শিক্ষক। রিকশা থেকে নামার পর দায়িত্বরত পুলিশ অফিসার তাকে টিজ করেছে।’

ওই শিক্ষক এর প্রতিবাদ জানালে তার সঙ্গে তুই তোকারি করা হয়েছে উল্লেখ করে সুবর্ণা বলেন, ‘তাকে অসম্মান করা হয়েছে। আমি সরকারি দলকে রিপ্রেজেন্ট করি, নাকি বিরোধী দলকে রিপ্রেজেন্ট করি- বিষয়টা এগুলোর ঊর্ধ্বে। প্রধানমন্ত্রী সবসময় বলেন, মানুষ আগে। মানুষের অধিকার আগে। জাতির পিতা বলেছেন, মানুষকে ভালোবাসতে হবে। মানুষের অধিকার আগে।’

সংরক্ষিত এই নারী আসনের সদস্য বলেন, ‘যে মন্ত্রণালয় এই বিষয়টি দেখা-শোনা করে তারা যেন দ্রুত পদক্ষেপ নেয়, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।’

কপালে টিপ পরায় এক শিক্ষিকাকে প্রকাশ্যে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অজ্ঞাত পুলিশ সদস্যকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে শনাক্তের চেষ্টা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বাইকটি এলেই পুলিশের না অন্য কোনো ব্যক্তির। আমরা সিসি ফুটেজ দেখে ওই ব্যক্তিকে শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। ওই ব্যক্তি পুলিশ বা সাধারণ মানুষই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Design & Development BY ThemeNeed.Com