সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন
অধিনায়ক তামিম ইকবাল, ইয়াসির আলী রাব্বি, মুমিনুল হক, মোহাম্মদ মিঠুন, শরিফুল ইসলাম ও রেজাউর রহমান রাজার মত ফ্রন্টলাইন ক্রিকেটাররা নেই। তাতে কি! মোহামেডানের মত নুয়ে পড়েনি প্রাইম ব্যাংক। দাপটেই জিতে যাচ্ছে অলক কাপালির দল।
আজ (২১ মার্চ) সোমবার বিকেএসপি ৪ নম্বর মাঠে লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক। খালি চোখে মাশরাফি বিন মর্তুজার লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জের বিপক্ষে প্রাইম ব্যাংকের জয় মনে হলেও আসল লড়াইটি হয়েছে লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জ ব্যাটার নাইম ইসলাম-রকিবুল হাসান বনাম প্রাইম ব্যাংকের সাহাদাত হোসেন দিপু ও এনামুল হক বিজয়ের মধ্যে।
অভিজ্ঞ নাইম ইসলামের ৯১ (১০৯ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কা) সঙ্গে দারুণ শতরান করেন আরেক অভিজ্ঞ পারফরমার রকিবুল হাসান (১২৫ বলে ৯ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কা)।
শুরুটা ভাল হয়নি মোটেই। মাত্র ২০ রানে খোয়া যায় ৩ উইকেট। ফিরে যান তিন টপ অর্ডার সাব্বির রহমান রুম্মন (১) তানজিদ হাসান তামিম (২৫ বলে ৭) ও তানবির হায়দার (১২ বলে ৭)। এ চরম বিপদে হাল ধরেন নাইম আর রকিবুল।আজ (২১ মার্চ) সোমবার নিয়ে এবারের লিগে নাইম ইসলাম তৃতীয় বারের মত ৯০ এর ঘরে গিয়ে থামলেন। এর আগের দুই ম্যাচে তার রান ছিল ৯২ এবং ৯৫।
চতুর্থ উইকেটে নাইম আর রকিবুল ২০০ রানের জুটি গড়লে লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জ পায় ২৬৫ রানের বড় পুঁজি। শেষ দিকে অধিনায়ক মাশরাফি ১৪ বলে ১ ছক্কা হাকিয়ে নটআউট থাকেন ১৯ রানে।
প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে পেসার রুবেল হোসেন ৫৮ রানে ২ উইকেট পেলেও বল হাতে শুরু করা তরুণ অফস্পিনার নাহিদুল আসল কাজটি করে দিয়েছেন। নামের পাশে ১ উইকেট জমা পড়লেও এ অফস্পিনারের ১০ ওভারে রান উঠেছে মাত্র ১৮।
এদিকে ২৬৬ রানের টার্গেট নিয়ে প্রাইম ব্যাংক জয়ের ভিত পায় দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় (৬৭ বলে ৫৩) আর সাহাদাত হোসেন দিপুর উদ্ভাসিত ব্যাটিংয়ে।
তারা দুজন ২৪.২ ওভারে প্রথম উইকেটে তুলে দেন ১২৪ রান। বিজয় অর্ধশতক উপহার দিয়ে ফিরে গেলেও সাহাদাত হোসেন দিপু অনবদ্য শতক (১৪৫ বলে ৯ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ১৩১ নটআউট) উপহার দিয়ে দলকে জিতিয়ে বিজয়ীর বেশে সাজ ঘরে ফেরেন।
শেষ দিকে দুই তরুণ শেখ মাহদি (১৬ বলে ২৫) আর নাহিদুল ইসলাম (৮ বলে ২ ছক্কা ও ১ বাউন্ডারিতে ২২ নটআউট) হাত খুলে খেলে প্রাইম ব্যাংকের জয়ে রাখেন কার্যকর অবদান।
বাঁ-হাতি স্পিনার নাবিল সামাদ (১০ ওভারে ৩/৩৩) বল হাতে দারুণ নৈপুণ্য দেখালেও লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জের শেষ রক্ষা হয়নি। অধিনায়ক মাশরাফির ১০ ওভারের কোটায় ওঠে ৬০ রান (১ উইকেট)।