রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন
মোঃ সেলিম উদ্দিন খাঁন বিশেষ প্রতিনিধি:
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এ কাজ আগামী ৩০ জুনের মধ্যে শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। আজ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মো. সানাউল্লাহ এ তথ্য জানান।
নির্বাচন কমিশনার জানান, নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকাকে সব প্রশ্নের ঊর্ধ্বে রাখতে ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২ জন ভোটারের তথ্য নতুন করে যাচাই-বাছাই করা হবে। তবে, যাচাই করা ১২ কোটি ৩৬ লাখ ভোটারের তথ্য প্রকাশ করা হবে না।
শুধু হালনাগাদে যেই ১৮ লাখ যুক্ত হয়েছে তাদের তথ্য প্রকাশ করা হবে।
২০০৯ সাল থেকে যারা ভোটার হয়েছেন তাদের তথ্য যাচাই করবেন কিনা, এমন প্রশ্নে সানাউল্লাহ বলেন, পুরো ভোটার তালিকা যাচাই-বাছাই করা হবে। তবে, খসড়া ভোটার তালিকায় সদ্য যুক্ত হওয়া ১৮ লাখ ভোটাদের তথ্য প্রকাশ হবে।
আর আগের ভোটার তালিকা যাচাই করা হলেও প্রকাশিত হবে না।আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘আপনারা বলেছেন, অতীতে বিতর্কিত ভোটার তালিকা হয়েছে। এখন কোন বছরের তালিকায় বিতর্ক আছে এটা আমরা জানি না।
আমরা যদি পুরো তালিকা যাচাই না করি তাহলে কীভাবে বের করতে পারব? যাদের বয়স গতকাল ১৮ বছর হয়ে গেছে, তারা যদি তালিকাভুক্ত নাও হয়ে থাকেন ও আমাদের এই প্রক্রিয়ার মধ্যে তালিকাভুক্ত হবেন তারা ভোট দিতে পারবেন।
এ ছাড়া এই বছর যাদের ১৮ বছর হবে তারা ভোট দিতে পারবে কিনা এটা আইনি বিষয়।’আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন আশা করছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আমাদের নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। আমরা এর জন্য সব সময় প্রস্তুত।
ভোটার তালিকা প্রনয়ণ করাও এক ধরনের প্রস্তুতি। আমাদের এ ভোটার তালিকাকে সন্নিবেশ করতে আইনি কোনো জটিলতা নেই। তফসিল ঘোষণার আগে একটা তালিকা প্রকাশ হবে।আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ১৭ বছর বয়সে ভোটার নিয়ে আমাদের প্রধান উপদেষ্টা উনার ব্যক্তিগত মতামত দিয়েছেন। আমরা শুনেছি সেটা।
এটা নিয়ে আলোচনা চলছে। যদি ভবিষ্যতে এটা রাজনৈতিক কোনো মতৈক্য হয় বা কোনো সিদ্ধান্ত আসে বা যদি সংবিধানে পরিবর্তন আসে তাহলে, আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, বিতর্কিত ভোটার তালিকা আমরা অনেক গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় দেখেছি। আপনারা আলোচনা করেছেন ও আমাদের সাধারণ মানুষদের মধ্যে এ ধরনের একটা পার্সেপশন (মতবাদ) আছে। আমাদের বাড়ি বাড়ি যাচাই করতে যাওয়ার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ হলো বিতর্কের সমাধান করা।