সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১৫ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ আসিফ খোন্দকার, আইনবিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট ইলিয়াস , যোগাযোগ : ০১৬১৬৫৮৮০৮০,০১৮১১৫৮৮০৮০, ঢাকা অফিস: ৪৩, শহীদ নজরুল ইসলাম রোড, চৌধুরী মল (৫ম তলা), টিকাটুলি ১২০৩ ঢাকা, ঢাকা বিভাগ, বাংলাদেশ মেইল: bdprotidinkhabor@gmail.com চট্টগ্রাম অফিস: পিআইবি৭১ টাওয়ার , বড়পুল , চট্টগ্রাম।
সংবাদ শিরোনাম:
নগরীর ডবলমুরিং এলাকায় আবেগঘন চিরকুট লিখে ক্যান্সার আক্রান্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার ‘আত্মহত্যা’ সৈকতে পর্যটকের ঢল,হোটেল-মোটেলে ঠাঁই নেই চসিক মেয়রের সঙ্গে চট্টগ্রাম সাংবাদিক সংস্থার নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ চট্টগ্রামে সাংবাদিককে হত্যাচেষ্টা, ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা ছাত্র আন্দোলনে হামলা : লোহাগাড়ায় মামলার আসামি গ্রেফতার দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির অভিযানে ৭ ব্যারেল চোরাই ডিজেল তৈল সহ গ্রেপ্তার ২ পূর্বকোণ-পত্রিকার সহ-সম্পাদক ও শিক্ষার্থীর ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন চকরিয়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান’কে গ্রেপ্তার করেছে”র‌্যাব-১৫ ও র‌্যাব-৭ এর আভিযানিক দল চট্টগ্রাম-কক্সবাজার- মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য মৃত্যুর মিছিল”নিয়ন্ত্রণ হারিয়েএক’মোটরসাইকেল চালক নিহত চন্দনাইশে যাত্রীবাহী বাস থেকে দেশীয় তৈরি পাইপ গান উদ্ধার গ্রেপ্তার ২

এক ট্রাক মাটি ৩হাজারে বিক্রি হচ্ছে-ঈদগাঁওয়ে চলছে দিনে-রাতেই চলছে পাহাড়-টিলা কাটার মহোৎসব:

মোঃ সেলিম উদ্দিন খাঁন বিশেষ প্রতিনিধি:

কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ঈদগাঁও- ফুলছড়ি ও মেহেরঘোনা রেঞ্জের পাহাড়ি এলাকায় পাহাড়- টিলা কাটার মহোৎসব চলছে। শুধু পাহাড় বা টিলা নয়, মাটি খেকোরা কৃষি জমি থেকেও মাটি কেটে আবাদি জমিকে অনাবাদি জমিতে পরিণত করছে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে চক্রটি রাতের আঁধারেই চালায় মাটি কাটা কর্ম। সন্ধ্যার পর থেকে ভোর রাত পর্যন্ত ভেঁকু দিয়ে সমানে চালানো হয় মাটি কাটা। তারপর ডাম্প ট্রাকে করে সেই মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতি ট্রাক মাটি তিন হাজার টাকা করে বিক্রি করছে অসাধু চক্রটি। যে কারণে এলাকার পরিবেশের ভারসাম্য হুমকির মুখে পড়ছে।সরেজমিনে দেখা গেছে, ইসলামপুর ইউনিয়নের নাপিতখালী বিটের অধীন ভিলেজারপাড়া, নাপিতখালীতে পাহাড় টিলা ও কৃষি জমি কাটার মহোৎসবে মেতে উঠেছে মাটি খেকো সিন্ডিকেটের সদস্যরা।স্থানীয়দের অভিযোগ, চক্রটি কৌশলে সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পুরোদমে পাহাড় টিলার মাটি কেটে ডাম্পার ট্রাকে করে বিভিন্ন স্থানের জলাশয়, কৃষি জমি ভরাট কাজে নিয়ে যায়। এক ডাম্পার লাল মাটি বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার টাকা করে। পাহাড় টিলা ও কৃষি জমি কাটায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মাটি খেকোরা । বেপরোয়া মাটি খেকোদের কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছে না। কাটছে নির্বিচারে পাহাড় টিলা ও কৃষি জমি। ফলে পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে এবং নিরব ভূমিকায় প্রশাসন।মেহেরঘোনা রেঞ্জের অধিন চান্দেরঘোনা-কালিরছড়ার অধিকাংশ জায়গা পাহাড়ি এলাকা। এই এলাকায় প্রাকৃতিক ও সামাজিক বনায়নের গাছ-গাছরাসহ ছোট-বড় অর্ধশতাধিক টিলা রয়েছে। ওইসব টিলায় স্ব স্ব স্থানীয় মাটিখেকোদের চোখ পড়েছে। তারা নানা কৌশলে প্রলোভন দেখিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীদের হাত করে এসব এলাকার প্রাকৃতিক অপার সৌন্দর্যের পাহাড় ও টিলা কেটে মাটি বিক্রি ও সরবরাহ করছে। পাহাড়ের লাল মাটি দিয়ে নিচু জমি ভরাট করা হচ্ছে। বিভিন্ন ফসল ও সবজি আবাদের নাম করে কিংবা বাড়িঘর নির্মাণের অজুহাতে ৩০ ফুট উঁচু টিলা কেটে সমতলভূমিতে পরিণত করা হচ্ছে।তবে স্থানীয়রা অভিযোগ , আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন আমলে পাহাড়, টিলা এমনকি কৃষি জমি থেকেও মাটি খেকো সিন্ডিকেটের সদস্যরা নির্বিচারে মাটি কেটেছে । আওয়ামী লীগের পতনের পর বর্তমানে এই সিন্ডিকেটটি রাতারতি ভোল পাল্টিয়ে ফেলেছে। ছোট-বড় লাল মাটির অনেক পাহাড় ও টিলাসহ বন বিভাগের জমির মাটি কেটে বিক্রি করছেন। পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও সামাজিক বনায়নের গাছগুলোও কৌশলে কেটে বিক্রি করেন।
খবর নিয়ে জানা গেছে, প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই মাটি খেকোরা দিনে-রাতে ভেকু মেশিন দিয়ে পাহাড় ও টিলার লাল মাটিসহ কৃষি জমি কেটে ডাম্পার ট্রাকে পরিবহণ করে বিভিন্ন স্থানে কৃষি জমি, জলাশয় ভরাটে বিক্রি করছেন। অপরদিকে মাটি ভর্তি ভারি ট্রাক চলাচল করায় গ্রামীণ রাস্তা ও বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক নষ্ট হচ্ছে। উপজেলায় কৃষি সুরক্ষা আইন ভঙ্গ করে প্রতি বছর শত শত বিঘা ফসলি জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হচ্ছে। রাতের আধারে পাহাড় কাটা মাটি দিয়ে কোথাও না কোথাও ভরাট করা হচ্ছে ফসলি জমি। গড়ে তোলা হচ্ছে বসতবাড়ি- প্রতিষ্ঠান। অনুমতি ছাড়াই জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে ফেলেছেন। অথচ ভূমি কর্মকর্তাদের উদাসীনতায় ব্যবহারভিত্তিক শ্রেণি পরিবর্তন না করায় রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।সম্প্রতি সরজমিনে পরিদর্শনে দেখা গেছে, উপজেলার ফকিরাবাজারে কৃষি জমি ভরাট করে বসতবাড়ি নির্মান করা হচ্ছে। এছাড়াও ঈদগাঁও সদর ইউনিয়নের ভোমরিয়াঘোনা, ভাদিতলা, হাসিনাপাহাড়সহ বিভিন্ন এলাকায় কৃষি জমি ভরাট করে পরিবর্তন করা হচ্ছে জমির শ্রেণি।২০১৬ সালের কৃষিজমি সুরক্ষা আইনের (খসড়া আইন)-৪ ধারায় বলা রয়েছে, কৃষিজমি ভরাট করতে স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু এই আইনের তোয়াক্কা না করে নির্বিচারে ফসলি জমি ভরাট করা হচ্ছে। বিভিন্ন গ্রামে ফসলি জমিতে মাটি ভরাট করে বসতভিটা নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতি বছরই এভাবে কমছে কৃষিজমি। বছরের পর বছর এই অবস্থা চলে এলেও রহস্যজনক কারণে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না ভূমি কর্মকর্তারা।কক্সবাজার জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জমির উদ্দিন বলেন, অনুমতি ছাড়াই যারা পাহাড় টিলা কেটে পরিবেশ নষ্ট করছে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।কক্সবাজার সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন সোলতানা বলেন, কেউ অনুমতি ছাড়াই পাহাড়- টিলা কাটলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।কৃষি জমি ভরাট বিষয়ে তিনি বলেন, কৃষিজমি ভরাট করে বসতবাড়ি কিংবা অন্য কিছু করতে হলে অবশ্যই অনুমতি নিতে হবে। কেউ না নিয়ে থাকলে অপরাধ হবে। জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হলে অবশ্যই খাজনার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। ফসলি জমি ভরাটের খবর পেলেই অভিযান চালানো হবে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Design & Development BY ThemeNeed.Com