মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২১ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:
চেয়ারম্যান: মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ আসিফ খোন্দকার, আইনবিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট ইলিয়াস , যোগাযোগ : ০১৬১৬৫৮৮০৮০,০১৮১১৫৮৮০৮০, ঢাকা অফিস: ৪৩, শহীদ নজরুল ইসলাম রোড, চৌধুরী মল (৫ম তলা), টিকাটুলি ১২০৩ ঢাকা, ঢাকা বিভাগ, বাংলাদেশ মেইল: bdprotidinkhabor@gmail.com চট্টগ্রাম অফিস: পিআইবি৭১ টাওয়ার , বড়পুল , চট্টগ্রাম।
সংবাদ শিরোনাম:
দৌলতদিয়া যৌনপল্লী থেকে ৫০ লিটার দেশী মদ সহ নারী গ্রেফতার-১ দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে- নাজমুল হাসান সিএমপির কর্ণফুলী থানার অভিযানে ১ লক্ষ পিস ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় ০৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত সাজা পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেফতার চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা (উত্তর ও দক্ষিণ) বিভাগের অভিযানে ৭ হাজার পিস ইয়াবাসহ একজন মাদকব্যবসায়ী গ্রেফতার জমির আহমদের মৃত্যুতে লোহাগাড়ায় উপজেলায় বিভিন্ন মহলের শোক চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ কর্মীকে গুলি করে হত্যা রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ অস্ত্র ব্যবসায়ী গ্রেফতার ইতনায় গলায় গামছা পেঁচিয়ে সবিতা রাণী বালা নামে এক স্কুল শিক্ষিকাকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা নওগাঁর মহাদেবপুর প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের ১০ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত নওগাঁর নওযোয়ান মাঠে রুকন সম্মেলনে জামাতী ইসলামির আমির বলেন আওয়ামীলীগ জাতির দুশমন

জমির আহমদের মৃত্যুতে লোহাগাড়ায় উপজেলায় বিভিন্ন মহলের শোক

মোঃ সেলিম উদ্দিন খাঁন বিশেষ প্রতিনিধি:

গোল্ডেন সিটি কমিউনিটি সেন্টারের স্বত্বাধিকারী আলহাজ্ব জমির আহমদ-(কোম্পানি)।গত কাল-২০!১০!২০২৪ ইং সন্ধ্যা ৬ ঘটিকার সময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন!”ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন”
দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন খবর (পরিবার) শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করেন।
সোমবার-২১!১০!২০২৪ ইং! লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ, মাস্টার হাট জানাজা শেষে। জোহরের নামাজের পরে পারিবারিক কবরস্থানে পিতা মাতার পাশে চিরুনিদ্রায় দাফন করা হয়।

“ইসলামের দৃষ্টিতে শোক পালন”
সুখে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ আর দুঃখে ধৈর্য ধারণ করা ইমানের দাবি। নবি (স.)-এর জীবনেও শোক এসেছে। বিভিন্ন সময় তার প্রিয়জনদের হারাতে হয়েছে। জন্মের আগে পিতাকে আর ছয় বছর বয়সে মমতাময়ী মাকে হারান। আট বছর বয়সে দাদাকে হারিয়ে একেবারে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন। নবুয়তের দশম বছরের রমজান, মতান্তরে শাওয়াল মাসে নবি (স.)-এর চাচা আবু তালিব ইন্তেকাল করেন। এই শোক কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই তিন বা পাঁচ দিনের ব্যবধানে তার সহধর্মিণী খাদিজাতুল কুবরা (রা.) ইন্তেকাল করেন।

তাদের ইন্তেকালে রসুল (স.) শোকার্ত হয়ে পড়েন। নবি (স.)-এর এমন প্রিয় দুজন ব্যক্তির ইন্তেকালের কারণে ঐ বছরকে ‘আমূল হুজুন’ বা ‘শোকের বছর’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। এ ছাড়া নবি (স.)-এর ছেলেমেয়েদের মধ্যে ফাতিমা (রা.) ছাড়া সবাই তার জীবদ্দশায় ইন্তেকাল করেন। সন্তান হারানোর শোক তাকে সইতে হয়েছে। আপনজনের মৃত্যুতে সীমাহীন কষ্ট হওয়া স্বাভাবিক।

মহান আল্লাহ এই কষ্টের বিনিময় দান করবেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে সেই প্রতিদান প্রাপ্তির আশায় ধৈর্য ধারণ করতে হবে। ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ (নিশ্চয় আমরা আল্লাহর জন্য এবং আমরা তারই সান্নিধ্যে ফিরে যাব) বলে আল্লাহর দিকে ধাবিত হতে হবে। ভাগ্যের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে।

মনকে শক্ত করার চেষ্টা করতে হবে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল (স.) বলেছেন, মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি যার কোনো প্রিয়জনকে উঠিয়ে নিই আর সে ধৈর্য ধারণ করে এবং নেকির আশা রাখে আমি তাকে জান্নাত দিয়েই সন্তুষ্ট হব।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৪০১)। এর পরও নীরব কান্না হবে। মনের বেদনায় চোখ বেয়ে কান্না ঝরতে থাকবে। তাতে সমস্যা নেই।

কিন্তু চিত্কার করে, ইনিয়ে-বিনিয়ে, বুক চাপড়ে কাঁদা, মাতম করা এবং জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা ইসলামের পদ্ধতি নয়। এগুলো জাহিলি যুগের কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি। আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবি (স.) বলেন, ‘যে শোকে গালে চপেটাঘাত করে, জামার অংশবিশেষ ছিঁড়ে ফেলে এবং জাহিলি যুগের মতো চিত্কার করে সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (বুখারি, হাদিস :১২৩৫; মুসলিম, হাদিস :২৯৬)

স্বামী মারা গেলে স্ত্রীর শোক পালন ও অন্যান্য দায়িত্ব সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রী রেখে মৃত্যুমুখে পতিত হয়, তাদের স্ত্রীরা চার মাস ১০ দিন প্রতীক্ষায় থাকবে। যখন তারা তাদের ইদ্দতকাল পূর্ণ করবে তখন যথাবিধি নিজেদের জন্য যা করবে তাতে তোমাদের কোনো গুনাহ নেই।

তোমরা যা করো আল্লাহ সে বিষয়ে সবিশেষ অবহিত।’ (সুরা বাকারা, আয়াত :২৩৪)। শোকার্ত মানুষকে সান্ত্বনা দেওয়া, সমবেদনা জানানো, যথাসাধ্য খোঁজখবর নেওয়া ও সহযোগিতা করা ইসলামের অন্যতম মানবীয় সদাচরণ। রসুল (স.) বলেন, ‘সন্তানহারা মাকে যে সান্ত্বনা দেয় জান্নাতে তাকে বিশেষ পোশাক পরানো হবে।’ (তিরমিজি, হাদিস :১০৭৬) নবিজি আরো বলেন, ‘স্বামীহারা নারী ও মিসকিনের জন্য খাদ্য জোগাড়ে চেষ্টারত ব্যক্তি আল্লাহর পথে জিহাদকারীর মতো অথবা রাতে নামাজে দণ্ডায়মান ও দিনে রোজা পালনকারীর মতো।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৩৫৩) । প্রিয়জনের মৃত্যুশোক স্মৃতি হয়ে রয়ে যায়। মাঝে মাঝে মনের কোঠায় ভেসে উঠে মনকে ব্যথিত করে। সে ক্ষেত্রে আবারও ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ বলে আল্লাহর দিকে ধাবিত হতে হবে। প্রিয়জনের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করতে হবে। ইস্তিগফার করতে হবে। সুযোগমতো কবর জিয়ারত করতে হবে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Design & Development BY ThemeNeed.Com