শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৪ অপরাহ্ন
মো.মাহফুজুর রহমান নড়াইল প্রতিনিধি:
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় বিএনপির দুইপক্ষের কোন্দলে পাঁচজন আহত হয়েছেন। বুধবার (২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে কালিয়া পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনার সুত্রপাত হয়।
এর জের ধরে পরবর্তীতে সোয়া ৮টার দিকে পূণরায় কলেজ রোডে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আহতরা হলেন-কালিয়া পৌর যুবদলের সাবেক আহবায়ক ও কালিয়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ইকরাম রেজা (৫০), রানা ফকির (২২), মোজাহিদ শেখ (২৬), কামাল হোসেন (৪০) ও স্বপন দাশ (৫৫)।
তাদের কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে মোজাহিদ শেখকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা জানান, আগামি ১৯ অক্টোবর নড়াইলের চারটি থানা ও তিনটি পৌর বিএনপির সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।
এরপর পদপ্রত্যাশায় তোড়জোড় শুরু করেন থানা ও পৌর বিএনপির নেতারা। এরই ধারাবাহিকতায় কালিয়া থানা বিএনপির সভাপতি প্রার্থী সরদার আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া মিঠু এবং পৌর বিএনপির সভাপতি প্রার্থী শেখ রবিউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সেলিম রেজা ইউসুফের ওপর ক্ষীপ্ত হয় কালিয়া থানা বিএনপির সদস্য সচিব ওয়াহিদুজ্জামান মিলুর সমর্থকরা।
এরপর বুধবার (২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে কালিয়া পৌর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকরাম রেজাসহ পাঁচজনকে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে বিএনপির প্রতিপক্ষরা।
পরে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন, গোলাম কিবরিয়া মিঠু, রবিউল ইসলাম ও সেলিম রেজা ইউসুফ একগ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অপর গ্রুপে আছেন- জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম এবং কালিয়া থানা বিএনপির সদস্য সচিব ওয়াহিদুজ্জামান মিলুর সমর্থকরা।
ওই ঘটনায় সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে দেশিয় অস্ত্রসহ বৃধবার রাত ১১টার দিকে বেন্দারচর থেকে চারজনকে আটক করে। আটককৃতরা হলো-বেন্দারচরে সুমন শেখ (২৩), নাহিদ শেখ (১৯) ওয়ালিদ শেখ (২৭) ও জাকারিয়া (৩৫)। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার দুপুরে সেনাক্যাম্পে প্রেসব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।