শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২৪ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি
সিসিটিভি ফুটেজ এবং ‘Hello CMP’ অ্যাপের “আমার গাড়ি নিরাপদ” সেবার সহায়তায় মুখে হাসি ফুটল রবি কাস্টমার কেয়ারে চাকুরীরত জামিলুর রহমানের ।
জনবান্ধব পুলিশিংয়ের মাধ্যমে জনগণকে সেবা প্রদান বাংলাদেশ পুলিশের অন্যতম লক্ষ্য। বলছিলাম রবি কাস্টমার কেয়ারে চাকুরীরত জামিলুর রহমানের হারানো ল্যাপটপ ফিরে পাওয়ার গল্প।
জামিলুর রহমান, পেশায় বেসরকারি চাকুরিজীবী। রবি কাস্টমার কেয়ার আগ্রাবাদ চৌমহনীতে চাকুরী করেন। রবি কাস্টমার কেয়ার কর্তৃক আয়োজিত একটি প্রোগ্রামে অংশগ্রহন করার জন্য গত ২৫/০৫/২০২৪ খ্রি: দুপুর আনুমানিক ০১.৩০ ঘটিকার সময় আগ্রাবাদ চৌমহনী থেকে সিএনজি যোগে হালিশহর থানাধীন বেপারীপাড়াস্থ আবদুল্লাহ কনভেনশন হলে আসেন। সিএনজি থেকে নামার কিছুক্ষনপর তিনি বুঝতে পারেন তিনি রবি কাস্টমার কেয়ারে ব্যাবহৃত ল্যাপটপ, চার্জার, অফিসের চাবিসহ অন্যান্য জিনিস সহ ব্যাগটি সিএনজির পেছনেই ফেলে এসেছেন। উক্ত বিষয়ে তিনি হালিশহর থানায় সাধারন ডায়েরী করেন।
উক্ত ডায়েরি লিপিবদ্ধ করার পর সিএমপির পশ্চিম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব নিহাদ আদনান তাইয়ান মহোদয়ের সার্বিক দিক-নির্দেশনায়, এডিসি জনাব স্পিনা রানী প্রামাণিক ও ডবলমুরিং জোনের এসি জনাব সব্যসাচী মজুমদারের তত্ত্বাবধানে হালিশহর থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব কায়সার হামিদেরর নেতৃত্বে হালিশহর থানার এসআই মো: শাহজালাল, এসআই নজরুল ইসলাম, এএসআই আবদুল হাই বাবলু, এএসআই মিনহাজ আহমেদদের সমন্বয়ে একটি আভিযানিক টিম গঠন করা হয়। উক্ত আভিযানিক টিম ঘটনাস্থলসহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক একাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে সিএনজি নম্বর শনাক্ত করেন। তারপর হ্যালো সিএমপি অ্যাপের আমার গাড়ি নিরাপদ সেবার ডেটাবেইজের মাধ্যমে সিএনজির মালিক এবং ড্রাইভারের তথ্য সংগ্রহ করেন। অভিযোগপ্রাপ্তির পর অভিযানিক টিমের অক্লান্ত পরিশ্রমে বন্দর থানাধীন সলগলাক্রসিং এলাকা থেকে সিএনজি সনাক্ত করার মাধ্যমে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই জামিলুর রহমানের গুরুত্বপূর্ণ মালামালের ব্যাগটি উদ্ধার করেন এবং তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়, রবি কাস্টমার কেয়ারে চাকুরীরত জামিলুর রহমান অনেক বড়ো বিপদ থেকে বেঁচে গেলেন উল্লেখ করে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।