মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০৩ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:
চেয়ারম্যান: মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ আসিফ খোন্দকার, আইনবিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট ইলিয়াস , যোগাযোগ : ০১৬১৬৫৮৮০৮০,০১৮১১৫৮৮০৮০, ঢাকা অফিস: ৪৩, শহীদ নজরুল ইসলাম রোড, চৌধুরী মল (৫ম তলা), টিকাটুলি ১২০৩ ঢাকা, ঢাকা বিভাগ, বাংলাদেশ মেইল: bdprotidinkhabor@gmail.com চট্টগ্রাম অফিস: পিআইবি৭১ টাওয়ার , বড়পুল , চট্টগ্রাম।
সংবাদ শিরোনাম:
পানছড়ির দূর্গম কচুছড়িতে ৩ বিজিবি’র বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা নওগাঁর মান্দায় পারিবারিক বিরোধের জের ধরে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড থানার হত্যা মামলার দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আলাউদ্দিন’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম মেধাবীদের হাতে থাকলে দেশ পথ হারাবে না আগামীর বাংলাদেশ রাজশাহীতে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তবর্তীকালীন কমিটির উদ্যোগে ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত নওগাঁর দোহালী গ্রামে নিধূরাম নামে এক কৃষকের সাপের কামড়ে মৃত্যু ‘আর্ত মানবতার সেবায় র‌্যাব” ফেনী জেলার ফুলগাজী এবং দাগনভূঁইয়া উপজেলার বন্যাদুর্গত এলাকায় বন্যার্ত সহস্রাধিক পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করলো র‍্যাব-৭, চট্টগ্রাম। সারাদেশে বৃষ্টি কমে বাড়তে পারে তাপমাত্রা বৃহস্পতিবার থেকে শেয়ারবাজারে স্বাভাবিক সার্কিট ব্রেকার

বাড়বকুণ্ডের নড়ালিয়ায় ও কুমিরা-সন্দ্বীপ চ্যানেল দখল করে অবৈধভাবে নির্মিত হচ্ছে কয়েকটি এলপিজি প্লান্ট

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি:-

চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড বাজার থেকে পশ্চিমে নদীর পাড়ের কৃষিজমিভুক্ত এলাকায় সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক এলপিজি প্লান্ট স্থাপন করেছে বিভিন্ন কোম্পানি। এর মধ্যে রয়েছে ইউরো পেট্রো প্রডাক্ট, ইউনিভার্সাল এলপিজি, বিএম এনার্জি বাংলাদেশ ও ইউনি গ্যাস। ওই এলাকায় আরো বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এলপিজি আমদানি ও বোতলজাতের প্লান্ট স্থাপনে কাজ করছে। সম্প্রতি ওই এলাকায় এলপিজি প্লান্ট স্থাপন করেছে জেএমআই গ্রুপ। মূলত গভীর সমুদ্র থেকে সন্নিকটের এ নৌপথে এলপিজিবাহী নৌযানগুলো এনে পাইপলাইনের মাধ্যমে প্লান্টে স্টোরেজ করা সহজ হওয়ায় বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের নদী-তীরবর্তী স্থানটিতে ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করছে দেশের এলপিজি খাতে বিনিয়োগকারী প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো।

 

জানা গেছে, কোম্পানিগুলো প্লান্ট স্থাপনের পর নদী থেকে এলপিজি নিয়ে আসতে এরই মধ্যে নদীর অভ্যন্তরে পাইপলাইন ও ডলফিন মুরিং স্থাপন করেছে। এসব স্থাপনা তৈরিতে সরকারি সংস্থার অনুমোদনও দেয়া হয়েছে। অধিকাংশ কারখানাই স্থানীয় কৃষিজমিতে স্থাপন করছে কোম্পানিগুলো। তবে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান বিআইডব্লিউটিএর আপত্তি উপেক্ষা করেই পাইপলাইনসহ অন্যান্য নির্মাণে নদীর অভ্যন্তরে বাঁধসহ খুঁটি গেড়ে পানিপ্রবাহে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। এতে স্থানীয় জেলেদের মাছ ধরা, পণ্য ও যাত্রী পরিবহনে নৌপথের প্রতিবন্ধকতাও তৈরি হয়েছে।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিএ উপপরিচালক (বন্দর ও পরিবহন) নয়ন শীল কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে সার্বিক বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম বন্দর কিংবা জেএমআই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেন তিনি।
জেএমআইয়ের নদীর তীরভূমি ব্যবহারের আবেদন ও সংশ্লিষ্ট নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট বন্দরের অনুমোদন নেয়ার পর জেএমআই একই বছরের ২ অক্টোবর থেকে বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় স্থাপনার ভোগ ও কার্যক্রম শুরু করে। এর মধ্যে ফোরশোর ব্যতীত ভূমি ব্যবহার করছে প্রায় ২৪ একর। এ প্লান্ট ও জেটি দিয়ে বার্ষিক ৬০ হাজার টন এলপিজি আমদানি, আনলোডিং, বোতলজাত, ফিলিং, সংরক্ষণ ও সরবরাহ করবে। এর জন্য ২০১৯ সালের ১১ জুলাই স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (৫ নং বাড়বকুণ্ড) থেকে ট্রেড লাইসেন্স নেয় জেএমআই গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুর রাজ্জাক।

 

এছাড়া ২০১৬ সাল থেকে কোম্পানিটি ওই এলাকায় বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে জমি ক্রয় করেছে। এর মধ্যে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্রয় করা জমিগুলোর জন্য নামজারি করেছে। কিন্তু নদীর অভ্যন্তরে কীভাবে জমি ক্রয় করেছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানায়নি জেএমআই কর্তৃপক্ষ।

 

বিআইডব্লিউটিএর তথ্য বলছে, নলাডিয়া মৌজার বেড়িবাঁধের পশ্চিম পাশের নৌপথে ফোরশোরের (গেজেট অনুুযায়ী) জমিগুলোতে স্থাপনা নির্মাণ করেছে জেএমআই। অধিকাংশ সময় সামুদ্রিক জোয়ারে তীরবর্তী অংশের পুরোটাই পানিতে ভরা থাকে। ভাটার সময় কুমিরা চ্যানেলের অভ্যন্তরে থাকা তীরভূমি বা ফোরশোরও ভরাট করেছে।

 

যার কারণে ওই এলাকায় বর্তমানে কোনো নৌযান চলাচল করতে পারছে না। জেএমআই সর্বমোট ৭ লাখ ৭১ হাজার বর্গমিটার জায়গা ভরাট করে ব্যবহারের আবেদন করেছে। তবে আবেদনের চেয়েও বেশি জমি দখল করায় জেএমআইয়ের নদীর জমি দখলের পরিমাণ এক বর্গকিলোমিটার ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাড়বকুণ্ড ঘাটের এক ট্রলারের চালক (সেরাং) বণিক বলেন, এক সময় এ ঘাট দিয়ে দিনে কয়েক দফায় ট্রলার চলাচল করত সন্দ্বীপ পর্যন্ত। কিন্তু বর্তমানে নদীর ভেতরে স্থাপনা নির্মাণের ফলে ধীরে ধীরে ঘাটটির পানি প্রবাহ কমে আসছে। বর্তমানে শুধু জোয়ারের সময় দিনে বা রাতে দুবার ছাড়া দিনের অন্যান্য সময় আর কোনো ট্রলার চলাচল করতে পারে না।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Design & Development BY ThemeNeed.Com