সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আইনজীবি এবং মানবাধিকার কর্মী একে অপরের পরিপূরক। এই দুই প্রতিষ্ঠান এক সাথে কাজ করতে পারলে দেশে আইনের সুশাসন, মানবাধিকার এবং ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা সময়ের ব্যাপার মাত্র।আমরা যাদেরকে সংবর্ধিত করছি তাদেরই সহকর্মীরা সমাজে মাথা উঁচু করে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছে বিধায় এক ঝাঁক মেধাবী ও দেশপ্রেমিক আইনজ্ঞদের নির্বাচিত করতে পেরেছে। চট্টগ্রাম আইনজীবি সমিতি দেশের জনগণের কাছে সেই উচ্চতায় পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন যাহা দেশের জনগণের প্রত্যাশা ছিল।
তিনি আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় এই দুই প্রতিষ্ঠানকে একযোগে এগিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মানবাধিকার সাংবিধানিক অধিকার। পৃথিবীর কোন স্বৈরচার জান্তা বাহিনী গণতন্ত্রকামী জনতার আন্দোলনের মুখে ঠিকে থাকতে পারেনি। আজ দেশের ১৮ কোটি মানুষ পরাধীন। এভাবে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র চলতে পারে না। লক্ষ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এবং মা বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিয়ে অর্জিত স্বাধীনতা আজ বন্দুকের নলে বিপর্যস্ত।
মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ন্যায় বিচার, সাম্য, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সামাজিক মূল্যবোধ মলিন হয়ে যাচ্ছে। একাত্তরের পাক হানাদার বাহিনীর অত্যাচার চেয়ে এখন দশগুণ । এখনো হাজার হাজার নেতাকর্মী জেল জুলুমের শিকার ও গণতান্ত্রিক কর্মীরা ঘর ছাড়া। তারা বাড়ীতে ফিরতে পারছে না। প্রতিটি নেতাকর্মী আজ মামলায় জর্জরিত। মাহে রমজানকে সামনে রেখে সরকারের আত্মীয় স্বজন সিন্ডিকেট করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম বাড়িয়ে মধ্যবিত্ত ও নিন্ম মধ্যবিতের পকেট কেটে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। দেশের গণতান্ত্রিক সমস্ত কাঠামোগুলো আজ ধ্বংস করে দিয়েছে।
আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠা থাকলে আজ দেশ থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার পাচার হওয়ার সুযোগ থাকতো না। তিনি আজ ২৬ ফেব্রুয়ারী (সোমবার) সকালে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন চট্টগ্রাম বিভাগ, মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ শাখার যৌথ উদ্যোগ নব-নির্বাচিত চট্টগ্রাম আইনজীবি সমিতির সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট এম এ হাশেম রাজুর সভাপতিত্বে ও আইএইচআরসির চট্টগ্রাম বিভাগের সদস্যসচিব এস এম কামরুল ইসলাম ও উত্তরের সদস্য সচিবআওরঙ্গজেব খান সম্রাটের যৌথ পরিচালনায় কোরাআনে পাক থেকে তেলোয়াত করেন মো মাঈন উদ্দিন আহমেদ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম আইনজীবি সমিতির নব-নির্বাচিত সভাপতি এডভোকেট মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের গণতন্ত্র, আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে দুই নেত্রী লড়াই করার এক পর্যায়ে স্বৈরাচার সরকার তাদেরকে কারাগারে নিক্ষেপ করে সেই কঠিন সংকটকালে গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য প্রখ্যাত আইনজীবি ব্যারিষ্টার রফিকুল হক আইনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন। আজ সেই ধারাবাহিকতা আমরা রক্ষা করতে পারলেই দেশে আইনের সুশাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা লাভ করবে।
সংবর্ধিত অতিথি এডভোকেট মোহাম্মদ আশরাফ চৌধুরী রাজ্জাক বলেন, আজ আমরা সংবর্ধিত নির্বাচিত আইনজীবিরা গর্ববোধ করছি। আন্তর্জাতিক কমিশন চট্টগ্রাম বিভাগ কর্তৃক আমাদেরকে যে সম্মাননা প্রদান করে আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় হাতকে শক্তিশালী করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যথাক্রমে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট এনামুল হক, সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি এডভোকেট মো. সেকান্দর চৌধুরী, লিগ্যাল এইড কমিটির আহবায়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মুফিজুল হক ভুঁইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ ফয়েজ ভুঁইয়া, প্রফেসর এস এম জাকরিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল ইসলাম ইউসুফ, নির্বাচিত সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট মো. আবদুল কাদের, সহ সাধারণ সম্পাদক কাসেম কামাল, সিএসকে ব্যাংকার ছিদ্দিকুল ফরহাদ চৌধুরী, সাবেক ছাত্র নেতা জসিম উদ্দিন চৌধুরী, আইএইচআরসির চট্টগ্রাম বিভাগের কো-অডিনেটর আমির হোসেন খান, চট্টগ্রাম বিভাগের আহ্বায়ক তাহেরা আকতার শারমিন, যুগ্ম আহবায়ক আবদুর রহিম, ইঞ্জিনিয়ার আবু তৈয়ব, চট্টগ্রাম মহানগর সমন্বয়ক নুরুল আবছার তৌহিদ, উত্তর জেলার আহ্বায়ক সৈয়দ মোস্তফা আলম মাসুম, নব-নির্বাচিত অর্থ সম্পাদক এডভোকেট কাজী মো. আশরাফুল হক আনছারী (জুয়েল), পাঠাগার সম্পাদক আহমেদ কবীর (করিম), সাংস্কৃতিক সম্পাদক মারুফ মো. নাজেবুল আলম, ক্রীড়া সম্পাদক হাবিবুর রহমান, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক বাবু অভিজিত ঘোষ, সদস্য আবদুল্লাহ আল ফাহাদ, ইমরান হোসেন চৌধুরী, বাবুল লিটন দাশ, মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, নাসিমুল আবেদীন চৌধুরী (রায়হান), মো. ফখরুল ইসলাম গালিব, আয়েশা আকতার শানজি, লিনেট রিতা মার্টিন, বিএলফের চট্টগ্রাম মহানগর সাধারণ সম্পাদক আবু আহমেদ মিয়া, ইঞ্জিনিয়ার রাজীব রায়, মো. রায়হান, সাইফুল ইসলাম, নুরুল আলম সুজন উত্তর জেলা আইএইচআরসির সিনিয়র যুগ্ম সচিব ইউনুস তালুকদার, দক্ষিণ জেলা সংগঠক জান্নাতুল নাঈম চৌধুরী রিকু, কাউন্সিলর নুরুল কবীর, প্রফেসর ড. আবদুল জলিল, পাশা আবু সুফিয়ান, নুরুন্নবী, জয়নাল আবেদীন মনজু,মনিরুদ্দিন রানা, মুসলেম উদ্দিন ভূঁইয়া, আমিন উল্লাহ, মো. হেলাল উদ্দিন, নুরুল আলম সুজন, মির্জাদা সোহেল, তাহেরা মোহরম, নাদিরা সুলতানা হেলেন, মনি আকতার, নাজমা বেগম, শারমিন সরকার, রাফিতা আকতার, জাকিয়া সুলতানা, নাঈমা জান্নাত, প্রিয়াংকা মন্ডল, শাহাব উদ্দিন মনির, মিজানুল হক ও নাজিম উদ্দিন খান প্রমুখ ।