শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ আসিফ খোন্দকার, আইনবিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট ইলিয়াস , যোগাযোগ : ০১৬১৬৫৮৮০৮০,০১৮১১৫৮৮০৮০, ঢাকা অফিস: ৪৩, শহীদ নজরুল ইসলাম রোড, চৌধুরী মল (৫ম তলা), টিকাটুলি ১২০৩ ঢাকা, ঢাকা বিভাগ, বাংলাদেশ মেইল: bdprotidinkhabor@gmail.com চট্টগ্রাম অফিস: পিআইবি৭১ টাওয়ার , বড়পুল , চট্টগ্রাম।
সংবাদ শিরোনাম:
তানোরে কু প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর এক পরিবারকে একঘরে সমাজচ্যুত লোহাগাড়ায় মে দিবসে নানা দাবিতে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদের সমাবেশ-র‌্যালি চট্টগ্রামে তারুণ্যের ভাবনা শীর্ষক সেমিনারে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বির্জাখাল খননের প্রথম পর্যায়ের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ৬০ শতাংশ সম্পন্ন চট্টগ্রামে বলাকা প্রকাশনের গ্রন্থ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে মেয়র ডা. শাহাদাত চকরিয়া পুলিশের বিশেষ অভিযানে পৌর কাউন্সিলরসহ আটক ৩ রিমান্ড শেষে কারাগারে কক্সবাজারের সাবেক এমপি জাফর আলম বিদ্যুৎহীন চট্টগ্রাম দক্ষিণ কক্সবাজার, ভোগান্তিতে পড়েছে জনজীবন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক যেন মৃত্যুকূপ বাস-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১ নানা আয়োজনে শুরু বর্ষবরণ লোহাগাড়ায়

নওগাঁ রিনা বেগম নামে এক গৃহবধূ হাত-পা বেঁধে হত্যা করে মালামাল লুট দুর্বৃত্তরা

উজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁঃ

নওগাঁর মহাদেবপুরে রীনা বেগম (৪৩) নামে এক গৃহবধূকে দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে শ^াসরোধ করে হত্যা করে মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি উপজেলা সদরের দশকলোনী পাড়ার মৃত লোকমান হোসেনের ছেলে ফেরদৌস আলমের স্ত্রী ও একই এলাকার মৃত ইয়াদ আলীর মেয়ে। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১০টায় থানা পুলিশ উপজেলার খাজুর ইউনিয়নের কুঞ্জবন মাস্টার পাড়ায় রীনা বেগমের বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

এসময় তার ঘরের আলমিরার তালা ভাঙ্গা ও জিনিসপত্র এলোমেলো করা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে যে, টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করার জন্য তাকে হত্যা করা হয়।স্থানীয়রা জানান, ২৫ বছর আগে ফেরদৌস ও রীনার বিয়ে হলেও কোন সন্তান না হওয়ায় ফেরদৌস অন্যত্র দ্বিতীয় বিয়ে করে।

এনিয়ে ২০১৭ সালে রীনার সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। রীনা সম্প্রতি কুঞ্জবন মাস্টারপাড়ায় দুই ইউনিটের একটি বাড়ি নির্মাণ করে ভাই ভারি ও ৭ বছর বয়সের ভাতিজিসহ ওই বাসায় বসবাস শুরু করেন। ইতোমধ্যে ফেরদৌসের দ্বিতীয় স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেলে ফেরদৌস আবার রীনাকে বিয়ে করে।

নিহত রীনার ছোট ভাই একরামুল ইসলাম জানান, তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানীতে চাকরি করেন ও তার স্ত্রী একটি কিন্ডারগার্টেনে শিক্ষকতা করেন। প্রতিদিনের মত বৃহস্পতিবার সকালে তারা স্বামী স্ত্রী বাড়ি থেকে বের হন। অন্যদিন তাদের মেয়ে রীনার কাছে থাকলেও সেদিন তাদের সাথেই যায়। রাত ৮টায় বাড়ি এসে রীনার ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পান।

ডাকাডাকি করেও না খুললে তারা দরজা খুলে ঘরের মেঝেতে হাত-পা বাঁধা রীনার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে থানা পুলিশে খবর দেন।মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন জানান, পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) গাজীউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত মান্দা সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মতিয়ার রহমান প্রমুখ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠান। নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেতেই পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। একটি সূত্র জানায়, জীবদ্দশায় রীনা বেগম বিভিন্ন জনের কাছে সুদে টাকা লগ্নি করতেন একারণে তার কাছে সবসময়ই নগদ মোটা অংকের টাকা থাকতো।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Design & Development BY ThemeNeed.Com