রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৩১ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত টিভি চ্যানেল আল-এখবারিয়ায় সম্প্রচারিত ভিডিওতে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপ ’ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ভাইদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে এবং তাদের সব ক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিক উৎসাহ দেওয়ার’ বিষয়ে বাদশাহ সালমান এবং যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।
ফিলিস্তিনি ফাইলগুলো এতদিন আম্মানের সৌদি দূতাবাসের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছিল।ফিলিস্তিনি বিশ্লেষক তালাল ওকাল বলেছেন, অধিকৃত পশ্চিম তীরে সৌদি আরবের প্রতিনিধিত্বকারী সরকারি অফিস প্রতিষ্ঠার পথে একটি পদক্ষেপ হলো এই রাষ্ট্রদূত নিয়োগ।তার মতে, সৌদি আরব একটি সম্পূর্ণ সার্বভৌম রাষ্ট্রে ফিলিস্তিনিদের অধিকারের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এটি তার একটি বার্তাও বটে।
সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক
ইরায়েল ও তার মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের বহু দিনের চাওয়া সৌদি-ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ চুক্তি। তবে এ নিয়ে অনেক আলোচনা হলেও খুব শিগগির চুক্তিটি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে স্বীকার করেছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। এক্ষেত্রে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ইস্যু অর্থাৎ, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব বন্ধসহ রিয়াদের আরও কিছু শর্তকে প্রধান বাধা হিসেবে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেছেন, চুক্তির আগে ইসরায়েলের ওপর বেশ কিছু শর্ত দিতে পারে রিয়াদ। এর মধ্যে থাকতে পারে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে দখলদারিত্ব বন্ধ, পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত না করার মতো বিষয়গুলো।রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, এসব শর্তে ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থি সরকারের সম্মত না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।