বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশের আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। আবারো যদি এ ধরনের আগুন সন্ত্রাসের চেষ্টা করা হয় তাহলে আইনশৃংখলা বাহিনী তা রুখে দিতে প্রস্তুত আছে।রাজশাহীতে মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বুধবার দুপুরে রাজশাহী পুলিশ লাইন্সে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে আইজিপি আরো বলেন, ‘মাদক ব্যবসায়ীরা দেশ ও জাতির শত্রু। পুলিশ বাহিনীতে কোনো মাদকসেবীর চাকরি হবে না। এমন কি সরকারী কোনো চাকরিই হবে না। তাই কোনো চাকরিপ্রার্থী মাদকাসক্ত কি ন-তা যাচাইয়ে ডোপ টেস্টও করা হচ্ছে। সভা-সমাবেশের মাধ্যমে সচেতন করে মাদক ব্যবসায়ীদের ভাল পথে ফিরে আসার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। কিন্তু এতেও যদি তারা মাদক পরিহার না করে তাহলে আভিযান দলের মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে’।
সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেছেন, ‘আদালত প্রাঙ্গণ থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশের কোনো গাফিলতি ছিল না কি না- তা তদন্তের পর জানা যাবে। তিনিটি তদন্ত কমিটি কাজ করা হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে ঘটনাটি সম্পর্কে পরিস্কার হওয়া যাবে’। রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন থানায় একের পর এক ককটেল উদ্ধারের বিষয়ে আইজিপি বলেন, ‘আমরা আভিযানিক কার্যক্রম চালাচ্ছি। যেখানে যা পাচ্ছি, উদ্ধার করছি। পেশাদারিত্বেও সাথে পুলিশ কাজ করছে। তবে পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা হলে আইনানুগভাবে মোকাবেলা করা হবে’।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার, বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ্, রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি আব্দুল বাতেন, জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল, মহানগর কমিউনিটি পুলিশিংয়ের আহবায়ক প্রফেসর ড. আব্দুল খালেক ও রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল। পরে আইজিপি পুলিশ লাইনে অবস্থিত পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর পরিদর্শন করেন।