রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০৪ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:
উপদেষ্ঠা মন্ডলীর সভাপতি মো: ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, নির্বাহী সম্পাদক: সেলিম উদ্দিন খান,  বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ আসিফ খোন্দকার, আইনবিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট ইলিয়াস , যোগাযোগ : ০১৬১৬৫৮৮০৮০,০১৮১১৫৮৮০৮০, ঢাকা অফিস: ৪৩, শহীদ নজরুল ইসলাম রোড, চৌধুরী মল (৫ম তলা), টিকাটুলি ১২০৩ ঢাকা, ঢাকা বিভাগ, বাংলাদেশ মেইল: bdprotidinkhabor@gmail.com চট্টগ্রাম অফিস: পিআইবি৭১ টাওয়ার , বড়পুল , চট্টগ্রাম।
সংবাদ শিরোনাম:
চট্টগ্রামে স্বর্ণালঙ্কার চুরির ঘটনা: আকবরশাহ থানার অভিযানে ১২ ঘণ্টায় তিন আসামি গ্রেফতার সিএমপি’র সকল থানার ওসি পদে রদবদল চকবাজারের ওসিকে সিটিএসবিতে বদলি চট্টগ্রামে ৮ দলের বিভাগীয় সমাবেশে ডা. শফিকুর রহমান চট্টগ্রামে অপহৃত নাজিম উদ্দিন উদ্ধার, অপহরণচক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার ডামুড্যায় বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনায় মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত শ্রীবরদী ভায়াডাঙ্গা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের উদ্যোগে ৩৪তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২৭তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত চট্টগ্রামে কাস্টমস কর্মকর্তাদের গাড়ি আটকে হামলা, গুলি করার হুমকি জামায়াত-বিএনপির লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি, জয় নির্ধারণ করবে যে ভোটাররা কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে র‌্যাব-৭ ও র‌্যাব-১১-এর যৌথ অভিযান গ্রেফতার ১ ভালুকায় দেশনেত্রীর সুস্থতা কামনায় সর্বসাধারণের দোয়া

প্রচন্ড গরমে আনারসের চাহিদা বেড়েছে, ভাল দামে খুশি চাষীরা

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার অরণখোলা ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের আনারস চাষী ইসমাইল হোসেন ৩০ শতাংশ জমিতে তিনি আনারসের চাষ করেছেন। এতে তার ৪০/৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ইতি মধ্যে তার আনারস বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রচন্ড গরমে আনারসের চাহিদা থাকায় দামও পাচ্ছেন ভাল। তার দাবি, ৩০ শতাংশ জমির আনারস এক লাখ ২০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা বিক্রি হবে। এ ছাড়াও একই জমিতে হলুদ আধা ও কচুর চাষ করেছিলেন। সেখান থেকেও ভাল মুনাফা পেয়েছেন।
ইসমাইল হোসেন বলেন, ঈদ ও প্রচন্ড গরমে আনারসের চাহিদা বেড়েছে ব্যাপক। এতে প্রতিটি আনারস ৪৫/৫০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। ভাল দাম পেয়ে আমি খুব খুশি। শুধু ইসমাইল হোসেন নয়, চলতি মৌসুমে টাঙ্গাইলের মধুপুর গড় অঞ্চলে আনারসের ভাল ফলন ও দাম ভাল পাওয়ায় খুশি চাষীরা। এসব আনারস দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি হচ্ছে।
মধুপুর উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্র জানায়, এবার উপজেলায় আনারসের চাষ হয়েছে ১৬ হাজার ৫৫ একর জমিতে, যা গত বছরের তুলনায় ১ হাজার ৭২৯ একর বেশি। উপজেলা ছাড়াও গড় এলাকার ঘাটাইল, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া ও মুক্তাগাছা এবং জামালপুর সদর উপজেলা এলাকায় আরও সাত হাজার একর জমিতে আনারস চাষ হয়েছে।
আনারসের জমিতে আধা, হলুদ, কলা, কচু ও পেপে, যে কোন তিনটি ফসল চাষ করা যায়। এসব আনারস মধুপুরের গারো বাজার ও জলছত্র পাইকারি হাটে বিক্রি করা হয়। জুন মাসের শেষ দিকে আনারস উঠতে শুরু করে। চলে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত।
জলছত্র হাটে সরেজমিন দেখা যায়, পাহাড়ি অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার বাগান থেকে চাষি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা সাইকেল, ভ্যানযোগে আনারস নিয়ে আসছেন পাইকারি হাটে। ব্যবসায়ীরা তাদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে ট্রাকে বিভিন্ন জায়গায় পাঠাচ্ছেন।
আনারস চাষী ওমর ফারুক  বলেন, এক বিঘা জমিতে তিন হাজার আনারসের চারা লাগিয়েছিলাম। প্রতিটির পিছনে ১৫ টাকা করে খরচ হলেও প্রতিটি ৪৬ থেকে ৫০ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি করতে পারছি। আমাদের কৃষি অফিস থেকে তেমন সহযোগিতা  করে না। আমরা জঙ্গলে থাকি তো তাই কেউ খোঁজ রাখে না।
অপরজন খোকন মিয়া  বলেন, আগে অতি বৃষ্টি, ভাইরাস ও মাটি দূষিত হওয়ার কারণে আনারস পঁচে নষ্ট হলেও এবার তেমনটি হয়নি। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফলন ভাল হয়েছে।
ময়মনসিংহের শিমতলী এলাকার পাইকারি ক্রেতা আতিকুর রহমান ও রফিকুল ইসলাম  বলেন, বেশ কয়েক দিন যাবত প্রচন্ড গরম। এতে আনারসের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। তাই দামও অনেক বেশি। এক মাস আগেও যে আনারস ২৫/৩০ টাকা দিয়ে কিনতাম। বর্তমানে সেই আনারস ৪৫/৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। চাহিদা বাড়লে দাম বাড়ে। চাহিদা কমলে দাম কমে।
মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন রাসেল জানান, প্রচন্ড গরম ও ঈদকে কেন্দ্র করে আনারসের ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। ভাল দাম পেয়ে খুশি চাষীরা।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Design & Development BY ThemeNeed.Com