শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন
আশির দশকের শুরুর দিকে মেয়েদের টেনিসে অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ছিলেন আন্দ্রেয়া জাগের। গ্র্যান্ড স্ল্যাম না জিতলেও ফরাসি ওপেন এবং উইম্বলডনের ফাইনাল খেলেছেন তিনি। ১৯৮০ সালে পেশাদার টেনিসে পা রাখেন। কিন্তু মাত্র ৫ বছর পর ১৯৮৫ সালে তিনি টেনিস ছেড়ে দেন! সেই সময় অনেকে অবাক হয়েছিলেন আন্দ্রেয়ার এই সিদ্ধান্ত।
এবার সেই কারণ জানাতে গিয়ে নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতা প্রকাশ করলেন আন্দ্রেয়া।
১৯৮৫ সালে কাঁধে চোট পাওয়ার পর আন্দ্রেয়া টেনিস ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ডব্লুটিএর বিরুদ্ধে তিনি মারাত্মক অভিযোগ করেছেন। আমেরিকার সাবেক টেনিস খেলোয়াড়ের দাবি, তাকে কমপক্ষে ৩০ বার যৌন নিপীড়নর শিকার হতে হয়েছে। ডব্লুটিএর এক নারী কর্মকর্তা তাকে বার বার যৌন নিপীড়ন করতেন। নিজেকে বাঁচাতে মেয়েদের পেশাদার টেনিস ফেডারেশনের কোনো পার্টিতে যেতেন না আন্দ্রেয়া। শেষ পর্যন্ত বিরক্তিতে টেনিসই ছেড়ে দেন।
বিশ্বের সাবেক ২ নম্বর নারী টেনিস খেলোয়াড় বলেছেন, ‘যিনি আমাকে অন্তত ৩০ বার যৌন নিপীড়ন করেছেন তিনি মেয়ে। আশির দশকে ডব্লুটিএর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। তার নির্দেশে ফেডারেশনের কর্মীরা আমাকে অজান্তেই মাদক খাইয়ে দিতেন। তারপর গাড়িতে তুলে পৌঁছে দিতেন ওই মেয়ের বাড়িতে। তিনি আমাকে জোর করে চুমু খেতেন। নানা রকম আপত্তিকর আচরণ করতেন। তখন আমার বয়স ১৬। ‘
১৪ বছর বয়সে পেশাদার টেনিসে পা রাখেন আন্দ্রেয়া। ৫৭ বছরের সাবেক টেনিস খেলোয়াড় বলেছেন, ‘শুধু তার বাড়িতেই নয়, স্টেডিয়ামের লকার রুমেও একাধিক বার যৌন নিপীড়নর শিকার হতে হয়েছিল আমাকে। আমার শরীর নিয়ে নোংরা মন্তব্য করতেন ওই মেয়ে। বাধ্য হয়ে আমাকে শৌচালয়ের ভিতর ঢুকে জামাকাপড় বদলাতে হতো। কখনো আমার শরীরে বিভিন্ন জায়গায় হাত দেওয়ার চেষ্টা করতেন তিনি। ‘
পেশাদার টেনিস জীবনের শুরু থেকেই বার বার যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েই একরকম অবসর নিতে বাধ্য হন। আন্দ্রেয়া বলেছেন, ‘আমার একটা আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। প্রতি সপ্তাহের টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ভয় করত। কয়েকবার প্রতিবাদ করেছিলাম। কিন্তু আমার ক্ষতি করার হুমকি দেওয়া হতো। কোনো টুর্নামেন্টে কখনই একা থাকার সাহস পেতাম না। বয়স কম ছিল। তাই ভয় করত। ‘
কেবল ওই মেয়ে কর্মকর্তাই নন, এক ফিজিওথেরাপিস্টও তাকে যৌন নিপীড়ন করেছিলেন বলে জানিয়েছেন আন্দ্রেয়া। বলেছেন, ‘‘ওই থেরাপিস্টের সঙ্গে একজন খেলোয়াড়ের সম্পর্ক ছিল। আমার কুঁচকিতে চোট লাগলে তার কাছে যাই। তিনি চিকিৎসার বাহানায় আমার গোপনাঙ্গে হাত দিতেন। কয়েকবার এমন হওয়ার পর আর তার কাছে যাইনি। টেনিস দুনিয়া সম্পর্কেই খুব খারাপ অভিজ্ঞতা তৈরি হয়েছিল। ‘