বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:১৪ অপরাহ্ন
মোঃ সেলিম উদ্দিন খাঁন বিশেষ প্রতিনিধি:
চকরিয়ার বদরখালীতে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় সন্দেহভাজন ৭ যুবককে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (৬ জানুয়ারি) মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার ৭ জানুয়ারি বিকেল ৫টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে মহেশখালীর শাপলাপুর ও চকরিয়ার বদরখালী থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন: চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের কলেজপাড়ার মোহাম্মদ ইসহাকের ছেলে মোহাম্মদ কাজল (২৩), একই ইউনিয়নের টুটিয়াখালী পাড়ার মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে মো. বশির (৩৮), ঢেমুশিয়াপাড়ার আব্দুস সোবহানের ছেলে মো. শাহজাহান (২৭), বদরখালীর বাজারপাড়ার জিয়বুল করিমের ছেলে তাজুল ইসলাম (১৮), নুরুল আফসারের ছেলে সজীব (২৫), টুটিয়াপাড়া এলাকার বশির আহমদের ছেলে ছোটন (২৫), দাতিনাখালী আবু ছাহের ছেলে অমিত হাসান (২৫)।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের ভুইয়া বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী থেকে দুজনকে ও মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর এলাকা থেকে দুজনকে আটক করা হয়। ঘটনার পর থেকে জড়িতদের আটকে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এর আগে সোমবার মধ্যরাতে বদরখালীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করা হয়।ওসি আরও বলেন, এই ঘটনায় মঙ্গলবার বিকার ৫টা পর্যন্ত থানায় কোনো এজহার জমা দেননি ভুক্তভোগীর পরিবার।
ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসার কাজে ব্যস্ত থাকায় এখনো এজহার জমা দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে পুলিশ ভিকটিম ও তার বাবাকে চকরিয়া থানায় নিয়ে গেছেন।
পুলিশের সাথে কথা বলে রাতের মধ্যেই জমা দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, গত রোববার (৫ জানুয়ারি) রাতে চট্টগ্রাম থেকে বাসে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী স্টেশনে পৌঁছায় ওই কিশোরী।
পরে সেখান থেকে মহেশখালীর গ্রামের বাড়ি ফিরতে বদরখালী-মহেশখালী সংযোগ সেতুর পূর্বাংশে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল। এ সময় দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাকে তুলে পার্শ্ববর্তী প্যারাবনে নিয়ে যায়। পরে সেখানে আট যুবক মিলে তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়।
এ দিকে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে সোমবার বদরখালী স্টেশন, চকরিয়া উপজেলা সদর এবং কক্সবাজার শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।