শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৫১ অপরাহ্ন
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে প্রতিযোগিতায় চলছে খাল ও সরকারি জমি দখলের মহোৎসব। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, এসব দেখার যেন কেউ নেই! উপজেলার বজরা ইউপির ইসলামগঞ্জ বাজারস্ত নির্মানাধীন ব্রীজের দুই পাশে মহেন্দ্র খালটি দখল করে নিচ্ছে ভূমিদস্যুরা। অপর দিকে সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের সড়কের দু’পাশ দখল করে কতেক ভুমিদস্যু দোকান নির্মাণ করে তা আবার বিক্রি করছে। এদের দৌরাত্ব দিন দিন বেড়েই চলছে।
স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খালের উপর নির্মানাধীন সেতুর ২ পাশে স্থায়ীভাবে পাকা ভবন নির্মাণ করছে কতেক ভুমিদস্যু। ভবনে কর্মরত শ্রমিকদের কাছ থেকে জানা যায়, বজরা ইউপির ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবদুর রহিম ও জনি নামে দুই জন সেতুর দক্ষিণ পাশে খাল দখল করে সিমেন্টের পিলার দিয়ে দোকানঘর নির্মাণ করছে। উত্তর পাশে বারাহীনগর গ্রামের নুর মোহাম্মদ (নুরু মিয়া)। এর বিপরীত দিকে (পূর্ব পাশে) আহসান উল্যার ওয়ারিশগণ খাল দখল করে স্থায়ীভাবে ভবন নির্মাণ করছে। স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ভুমিদস্যুরা প্রভাবশালী। নাম প্রকাশ করলে নিরাপত্বা ঝুকিতে থাকতে হবে বলে জানান। তারা আরো জানায়, একদিকে খাল কাটার নামে পুকুর চুরি, অন্যদিকে খাল দখল করে ভবন নির্মাণ করলেও এখানে স্থানীয় কোন প্রশাসন আছে বলে মনে হয়না। মাঝেমধ্যে ২/১ জন হলুদ সাংবাদিক এসে সুবিধা নিয়ে চলে যায়। কেউ কেউ ফেইজবুক পেইজে সংবাদ প্রকাশ করে, সুবিধা নিয়ে সংবাদটি মুছে ফেলে। আপনারা আসছেন খুশি হয়েছি, সংবাদটি প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট মহলের নিকট তুলে ধরবেন বলে আমরা আশা করি।
এ বিষয়ে সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইসমাইল হোসেন জানান, আপনাদের থেকে খবর পেয়ে আমি সংশ্লিষ্ট তহসিলদারকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। সরেজমিনে গিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সী আমির ফয়সাল জানান, এ বিষয়ে আমি আপনাদের থেকে জানতে পেরেছি। অবশ্যই প্রতিনিধি পাঠিয়ে রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে আশ্বাস দেন।